বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রাজধানীতে বিশুদ্ধ পানির চাহিদা দৈনিক ২৩৫ কোটি লিটার

সংসদ রিপোর্টার : রাজধানীতে দৈনিক ২৩০-২৩৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানির চাহিদার রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন। তিনি জানান, ঢাকা ওয়াসা চাহিদা অনুযায়ী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে।
দশম জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে গোলাম দস্তগীর গাজীর (নারায়ণগঞ্জ-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এমএ মালেকের (ঢাকা-২০) আরেক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরের পানি সরবরাহে নিয়োজিত ঢাকা ওয়াসা চাহিদার শতভাগ পানি সরবরাহ করছে। বর্তমান সরকারের সময়ে প্রথমবারের মত ঢাকা ওয়াসা চাহিদার বিপরীতে ২৪৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে।
তিনি বলেন, এর বাইরেও পরিবেশ বান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর সুফল রাজধানীবাসী ২০২১ সাল নাগাদ পাবেন।
আর্সেনিক ঝুঁকিতে ১২ শতাংশ মানুষ : বেগম লুৎফা তাহেরের (মহিলা আসন-৪০) এক প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন জানান, দেশের ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ২০০৩ সালে সমগ্র দেশের ২৭১ টি উপজেলার ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৪.৫ লাখ অর্থাৎ ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রারিক্ত (৫০ পিপিবি-এর উপরে) আর্সেনিক পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকারের গ্রহীত বিভিন্ন প্রকার নিরস কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরে বর্তমানে ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে ১৮৬৫০৪.৬১ লাখ টাকা ( কত হাজার হয় মিলিয়ে নিতে হবে) ব্যয়ে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে “Arsenic Risk Reduction Project Water Supply” শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় সমগ্র বাংলাদেশের আর্সেনিক দূষণের বর্তমান পরিস্থিতি জানা যাবে এবং ২৯ জেলার ১১০ টি উপজেলার এক হাজার ১২৪ ইউনিনে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি নিশ্চিত হবে। এছাড়াও নলূপের পানিতে আর্সেনিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সম্প্রসারিত কার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আর্সেনিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। ২০০৩ সালের পরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের যেসকল নলকূপ/পানির উৎস স্থাপন করা হয়েছে সেসকল নলকূপে আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রা হওয়া সাপেক্ষে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নলকূপ/পানির উৎসসমূহের পানি উপজেলা পর্যায়ে ফিল। টেস্ট কিট-এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। আঞ্চলিক পর্যায়ে ১৩ টি ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ১টিসহ মোট ১৪ টি ল্যাবরেটরিতে পানির গুণাগুণ পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।
আর্সেনিকের মাত্রা নিরূপণ ও ভূগর্ভস্থ পানিরস্থিতি তলের তারতম্য মনিটরিং সুবিধার্থে ৭৯১ টি অবজারভেশন ওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ