আগৈলঝাড়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর-
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা : “আগৈলঝাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের রোষানলে বাড়ি ছাড়া দুই ভাই।’’ সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের অনুগতদের দিয়ে নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজি মামলায় জড়ানোর প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ও প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার।
আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের হুমকি-ধামকি দেয়ার পাশাপাশি চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা দাবী করে সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন ও পৃথকভাবে রাজিহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন সরদারকে ঘটনা তদন্তর আহ্বান জানান। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে তিনি দলীয় পদ পদবী ও চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন বলেও প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন।
গত ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি “আগৈলঝাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের রোষানলে বাড়ি ছাড়া দুই ভাই।’’ শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়।
প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে ১৫ জানুয়ারী দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা সদরের রাস্তায় বসে প্রকাশ্যে তার লোকজন দিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজীর মামলা দেয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রেসক্লাবে এসে একই কথার পুনরাবৃত্তি করে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা দাবী করে ঘটনা তদন্তর জন্য আহ্বান জানান। এসময় রাজিহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন সরদারকে, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বরুণ কুমার বাড়ৈসহ বিভিন্ন লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৬ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামে এককড়ি ঘরামীর ছেলে পলাশ ঘরামীকে ১শ পিচ ইয়াবা ও গাঁজাসহ এসআই হাবিবুর রহমান গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পলাশকে মাদকসহ পরিকল্পিতভাবে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগে পলাশের পক্ষ নিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ও রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার কান্দিরপাড় গ্রামের নিকুঞ্জ মুন্সির দুই ছেলে শ্যাম ও নিখিলকে দায়ি করেন। এর পরে ঘটে ওই এলাকায় বিভিন্ন নাটকীয়তা। চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের রোষানলে পড়ে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয় দুই ভাই শ্যাম ও নিখিল। পুলিশ খবর পেয়ে ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আত্মগোপনে থাকা শ্যামকে এসআই মিজানুর রহমান উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে চেয়ারম্যানের কথিত নির্দোষ পলাশের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওবায়দুর রহমান ৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশটি দাখিল করেন।