শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সুন্দরবনে রশিদ ছাড়াই অর্থ আদায় ॥ রাজস্ব ফাঁকি

খুলনা অফিস : সুন্দরবনে পর্যটকদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পূর্ব বন বিভাগর চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকার করমজলে এ চিত্র বেশি লক্ষ্য করা যায়। সেখানে টিকিটের নির্ধারিত কাউন্টার থাকলেও তা ব্যবহার করা হয় না।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (পূর্ব) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘রশিদ ছাড়া পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া গুরুতর অপরাধ। তবে আমাদের কাছে এখনও কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জানা গেছে, করমজল ক্যাম্পে ঘুরতে আসা দেশি পর্যটক ও শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ২৩ টাকা এবং ভিডিও ক্যামেরার নেয়ার জন্য ২৩০ টাকা জমা দিতে হয়।
গত ১২ জানুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকেল তিনটার দিকে করমজল ক্যাম্পের টিকিট কাউন্টারের প্রবেশপথে ৪/৫ জন দর্শনার্থী নিরাপত্তা প্রহরী ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণ পর মংলা থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুটি লঞ্চ ঘাটে আসতেই এগিয়ে যায় আবু হানিফ, তারেকুল ও রাসেল নামের দালাল চক্র। পরে চুক্তি অনুযায়ী লঞ্চ থেকে দুই জন নেমে দালালদের হাতে টাকা তুলে দেন। দালালরা টাকা পকেটে রাখলেও তাদের কোনও রশিদ দেননি। এরপর টিকিট ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করানো হলেও নিরাপত্তা প্রহরীরা বাধা দেননি।
একই দিন কাউন্টারের পূর্বদিকে শিক্ষার্থীদের অপর একটি লঞ্চ আসলে বনবিভাগের কর্মচারী,  নৈশ প্রহরী এবং আবু হানিফ নামের এক দালাল ওই দলের শিক্ষকের কাছ থেকে প্রবেশমূল্য গ্রহণ করলেও রশিদ দেননি।
করমজলে ঘুরতে আসা খুলনার ফুলবাড়িগেট এলাকার খানজাহান আলী বিএম কলেজের প্রভাষক আবু ইউসুফ বলেন, ‘১৭০ জনের জন্য ক্যাম্পে প্রবেশ মূল্যের বিল হয় তিন হাজার ৯১০ টাকা।
কিন্তু দুই হাজার ৫শ’ টাকা পরিশোধ করায় তারা আমাদের কোনও রশিদ দেন নি।’
করমজল ক্যাম্প ইনচার্জ মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘সরকারি কাজে আমি ক্যাম্পের বাইরে থাকায় কয়েকজন অ বৈধ সুযোগ নিয়ে থাকতে পারেন। তবে উপযুক্ত প্রমাণ পেলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ