শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নারায়ণগঞ্জে তুলার গোডাউনে আগুনে নৈশ প্রহরীর মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার একটি তুলার গুদাম ও অটোরিকশার গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে নুরুল ইসলাম (৭০) নামে এক নৈশ প্রহরী নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন আরও একজন। শনিবার সকালে উপজেলার ধামগড়ের তুলার গোডাউনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
 নিহত নুরুল ইসলাম বন্দর উপজেলার রামনগর এলাকার মৃত আবদুল গফুর মিয়ার ছেলে। তিনি ওই এলাকার নৈশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর দগ্ধ আলী আকবর (৬০) বন্দরের সোনাচড়া এলাকার হাবু মিয়ার ছেলে।
 জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ধামগড়ে ইলিয়াস মিয়ার মালিকানাধীন একটি তুলার গোডাউন ও দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজে গতকাল শনিবার ভোর ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে তুলার গোডাউনে থাকা নৈশ প্রহরী নুরুল ইসলাম ও আলী আকবর দগ্ধ হন। এদের মধ্যে নুরুল ইসলামকে শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। আর দগ্ধ আলী আকবরকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 তুলার গোডাউনের মালিক ইলিয়াস আলী ও অটোরিকশা গ্যারেজের মালিকের দাবি, আগুনে তার প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
 বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, আগুনের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের পরিবার কোনো অভিযোগ না করায় থানায় অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।  
ফতুল্লার হাজীগঞ্জে যুবক খুন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার বিরোধের জের ধরে আনোয়ার ইসলাম বাবু ওরফে জামাই বাবুকে (৩২) ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে প্রতিপক্ষের মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসীরা। জামাই বাবু ক্রয়সফায়ারে নিহত সন্ত্রাসী মাস্টার দেলুর সহযোগী। তবে তাকে কারা ছুরিকাঘাত করেছে পুলিশ ও এলাকাবাসী স্পষ্ট ভাবে বলতে পারেনি।  শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি রাত ৮টায় ফতুল্লার হাজীগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। জামাই বাবু খুনের ঘটনায় এলাকায় থমথমভাব বিরাজ করছে।
 নিহত জামাই বাবু হাজীগঞ্জ পেপার মিল এলাকার আজিজ হাওলাদারের ছেলে। বাবু পেশায় ছিল নির্মাণ মিস্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ এলাকাতে মাদক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জামাই বাবুর সঙ্গে স্থানীয় একদল মাদক ব্যবসায়ীর  বিরোধ ছিল। এ নিয়ে এলাকাতে প্রায়শই তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। ওই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাতে জামাই বাবু হাজীগঞ্জ শাহজালাল রোডে জনৈক মালেক মিয়ার দোকানের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ঘটে। তখন জামাই বাবুকে তার প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। 
নিহত জামাই বাবুর মামা খোকন জানান, তার সাথে কারো বিরোধ ছিল না। সন্ধায় বাসা হতে বের হয়ে আসে। রাতে এলাকার লোকজনের কাছে খবর পাই, বাবুকে কারা যেন ছুরিকাঘাত করেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি বাবুর লাশ পরে আছে। 
 ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, মাদক ব্যবসার প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা জামাই বাবুকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে।  খুনিদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি খুব শিগ্রই খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ