শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিল ইউএনও

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নে রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে কেন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এবং প্রকল্পটি কেন তদারকি করা হয়নি এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গনির কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মঙ্গলবার  বিকালে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বৃহত্তর কুষ্টিয়া প্রকল্পের (জিকেপি) অধীন ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সন্তোষপুর-মানিকপুর কাঁচা রাস্তার ১ কিলোমিটার লম্বা এবং ৩ মিটার চওড়া এইচবিবি (হেরিংবন ব-) নির্মাণ কাজ করার জন্য টে-ার হয়। চুয়াডাঙ্গার একটি কনস্ট্রাকশন ফার্ম কাজ পেয়ে এক সপ্তাহ আগে যথারীতি কাজ শুরু করে। শর্ত অনুযায়ী ৬ ইঞ্চি বালির ওপর ১ নম্বর ইট দিয়ে কাজ করার কথা। কিন্তু কাজের গুণগত মান নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানও উথলী ইউপি চেয়ারম্যান সোমবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঠিকাদারের লোকজনকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ অমান্য করে মঙ্গলবার আবারও ৩ নম্বর ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল হাফিজ দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদারকির দায়িত্বে থাকা কাউকে পাননি এবং নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় কাজ বন্ধ করে দেন।
দীর্ঘদিন পর খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটিতে কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি এলেও নির্মাণ কাজ দেখে তারা হতাশ। রাস্তায় নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গনির সাথে যোগাযোগ করার জন্য কয়েকবার তার অফিসে গিয়েও তার দেখা মেলেনি। এমনকি তার মুঠোফোনে ০১৭১২-১৫৩৭৯৩ একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল হাফিজ বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর উপজেলা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ