ভিড় বাড়লেও বিক্রি সন্তোষজনক নয় ॥ আজ তৃতীয় শিশুপ্রহর
স্টাফ রিপোর্টার : ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। মেলার নবম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বেশ জমজমাট দেখা যায়। তবে এখনও বিক্রি বাড়েনি। এদিকে, আজ শুক্রবার মেলার দশম দিনের সকালটা থাকছে শিশু-কিশোর বইপ্রেমীদের জন্য।
বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়ছে, তবে বিক্রি বাড়েনি। ১৫ তারিখের পর বিক্রি বাড়বে বলে আশা তাদের।
কয়েকজন দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এখনও তারা নতুন বই দেখছেন। অনেক তরুণ লেখকের বই এখনও মেলায় আসেনি। তাই কিনতে বিলম্ব করছেন। পুরোনো লেখকদের বই দুই একদিন পর থেকে কেনা শুরু করবেন।
অনুপম প্রকাশনীর ম্যানেজার মো. শাহীন বলেন, বিক্রি হচ্ছে, তবে তেমন নয়। প্রতি বছরই মেলার প্রথমার্ধে বিক্রি কম হয়। শেষার্ধে বিক্রি বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এ্যাডর্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী শাহিনুর ইসলাম বলেন, দর্শনার্থী বাড়ছে, বই দেখছেন। তবে বিক্রি কম। দুই একদিন পর থেকে বিক্রি বাড়বে বলে আশা তার।
তবে পাঠক-ক্রেতারা বলছেন পছন্দের বই না আসার কথা। অন্য প্রকাশের সামনে বেসরকারি ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আতিকুর রহমান বলেন, নতুন অনেক লেখকের বই এখনও বাজারে আসেনি। পরিচিত কয়েকজন লেখকের বইয়ের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। দুই চারদিন পর থেকে বই কিনবেন। এখনও দেখছেন।
গ্রন্থমেলার নবম দিন গতকাল নতুন বই এসেছে ১২৫টি। এর মধ্যে ১৯টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বাংলা একাডেমি চত্বরে মেলার মূলমঞ্চে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল এবং ড. আশফাক হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনে প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা বিচিত্রমুখী ও বহুব্যাপ্ত। ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁক নিয়ে বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা অব্যাহত আছে। প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগের ইতিহাস চর্চার ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসচর্চার নতুন অভিমুখ তৈরি করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় ইতিহাস চর্চাও সামগ্রিক ইতিহাস গবেষণার ধারায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন, দিল আফরোজ রেবা, আকরামুল ইসলাম এবং পাগলা বাবলু।
আজ তৃতীয় শিশুপ্রহর : এদিকে আজ শুক্রবার মেলায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকছে শিশুপ্রহর। এটি এবারের মেলার তৃতীয় শিশুপ্রহর। এ সময়টাতে শিশুরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের বই পছন্দ করে কিনতে পারবে। মনের আনন্দে ঘুরতে পারবে। এছাড়া বিকেল চারটা থেকে মেলার মূল মঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।