বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ইয়াবার চালান আসছে সীমান্তের দুর্গম এলাকা ও সাগর পথে

উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা : সড়ক পথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ইউনিট তৎপর থাকায় ইয়াবা পাচারের রুট পরির্বতন করছে পাচারকারী সিন্ডিকেট। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে পাহাড়ী দুর্গম এলাকা ও সাগর পথে এখন ইয়াবার বড় বড় চালান পাচার হচ্ছে। পুলিশ বলছে, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে ইয়াবা পাচারকারীর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকাভুক্ত ইয়াবা পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা হলে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ সাগর ও পাহাড়ী দুর্গম এলাকা দিয়ে ইয়াবা চালান পাচারের সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি’র সতর্কতা আগের তুলনায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
যে কারণে পাচারকারীরা রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের জাইল্যারডিয়া ও নাফ নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিজিবি সদস্যরা ২৪ কোটি টাকা মূল্যমানের ৮ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসব ইয়াবার চালান ফিশিং বোটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রের সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা ফিশিং বোটের পেছনে ধাওয়া করলে পাচারকারী চক্র সাগরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষা করে।
কক্সবাজার র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫ টার দিকে একটি ফিশিং বোটকে ধাওয়া করে গভীর সমুদ্রে বোটটি আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়। পরে ওই ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ কোটি টাকা মূল্য মানের ৫ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় ইয়াবা পাচারে জড়িত ৩ জন রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের নজরদারি উপেক্ষা করে একাধিক ইয়াবার চালান তাদের পূর্ব নির্ধারিত পয়েন্টে পৌঁছে গেলেও কিছু কিছু ইয়াবার চালান আইন প্রয়োগ সংস্থার হাতে ধরা পড়ছে।
এদিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন পাহাড়ী জনপদ ইয়াবা পাচারকারীদের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী জানান, মিয়ানমার থেকে পাহাড়ী পথ ধরে ডেইলপাড়া, পাতাবাড়ী, ডিগলিয়াসহ ৮টি পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য সরাসরি রামু বাইপাস দিয়ে বাসটার্মিনাল হয়ে চট্টগ্রামে চলে যাচ্ছে।
গত শনিবার রাত ১০ টার দিকে পাতাবাড়ী গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন একটি ইয়াবার বড় চালান আসার খবর পেয়ে গ্রামবাসী ধাওয়া করে। এসময় পাচারকারী চক্র তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তার আশ্রয় নিয়ে তাদের কাছে থাকা বার্মিজ সিগারেটের কার্টুন ফেলে ইয়াবার চালানটি নিয়ে সটকে পড়ে।
উখিয়া থানার এসআই প্রিয়তোষ জানান, ঘটনাস্থল থেকে মিয়ানমারের তৈরি মার্বেল সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে জিরো ট্রলারেন্সে কাজ করছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ