শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পারমাণবিক অস্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে শীর্ষে দেখতে চান ট্রাম্প

২৪ ফেব্রুয়ারি, রয়টার্স : ডোনাল্ড ট্রাম্পপারমাণবিক শক্তির সক্ষমতার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে শীর্ষে দেখতে চান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অস্ত্রের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, তিনি এমন একটি বিশ্ব দেখতে চান, যেখানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এ কথাও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমিই প্রথম, যে কিনা কারও কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকুক, তা চায় না। কিন্তু আমরা কোনো দেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়তে চাই না। এমনকি পারমাণবিক শক্তিতে বন্ধুপ্রতিম দেশের চেয়েও আমরা পিছিয়ে পড়তে চাই না।’
ট্রাম্প বলেন, ‘যদি কোনো দেশে পারমাণবিক অস্ত্র না থাকত, তাহলে খুব চমৎকার হতো। কিন্তু যদি বিভিন্ন দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় নামে, তাহলে আমরা সবার ওপরে থাকতে চাই।’
পারমাণবিক শক্তিবিরোধী প্রতিষ্ঠান প্লগশেয়ারস ফান্ড বলছে, রাশিয়ার কাছে সাত হাজার যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৬ হাজার ৮০০ যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে।
অলাভজনক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাহী পরিচালক ডেরিয়েল কিমবল বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অস্ত্র রয়েছে।নিউ স্টার্ট নামে পরিচিত অস্ত্র সীমিত করার কৌশলবিষয়ক চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার সীমিত রাখতে হবে। সাক্ষাৎকারে এটিকে একপক্ষীয় চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এটি খারাপ চুক্তি। আমরা ভালো চুক্তি করার কাজ শুরু করেছি।’
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কী ঘটতে যাচ্ছে আমরা দেখব। তবে পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। আমার মতে চীন খুব তাড়াতাড়িই এর সমাধান করতে পারে।’
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে কোনো বৈঠক করবেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে। উন যা করছেন, তাতে আমরা ক্ষুব্ধ। ওবামা প্রশাসনের সময়ই বিষয়টি নজরে আনতে হতো।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ