বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

তামাকজাত দ্রব্যে আরোপিত কর অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ব্যয়ে নীতিগত পরিকল্পনা জরুরি

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকায় এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশে তামাকজনিত মৃত্যু ও পঙ্গুত্ববরণে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তামাকের ব্যবহার কমিয়ে সরকার তামাকজাত দ্রব্যের উপর আরোপিত ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর ধার্য করেছে সে অর্থ রোগ প্রতিরোধে ব্যয় করতে নীতিগত পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি।

গতকাল বুধবার সকালে পাঁচতারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তামাকবিরোধী সংগঠন ‘ভাইটাল স্ট্রাটেজিস’ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা এ উদ্বেগ-অভিমত ব্যক্ত করেন। তামাকবিরোধী উচ্চ পর্যায়ের এ সভায় বক্তব্য রাখেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর পরিচালক রেবেকা পার্ল, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মো. শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক সুরাথ কুমার সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কমিশনার (কাস্টম, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট-ঢাকা পশ্চিম) ড. মো. শহিদুল ইসলাম, তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুস সোবহান, দি ইউনিয়ন এর টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর বাংলাদেশস্থ পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশে চলমান কার্যক্রমের উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা তুলে ধরেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, তামাক ও ধূমপান ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়বেটিস, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদী রোগসহ ক্রমবর্ধমান অসংক্রামক রোগের জন্য দায়ী। তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর প্রায় এক লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকাল পঙ্গুত্বের শিকার হয়। 

অনুষ্ঠানে তামাকের বৈশ্বিক প্রকাশনা দ্য টোব্যাকো এটলাস-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়সী পুরুষদের মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়সী নারীদের মোটমৃত্যুর ৫ দশমিক ৭ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক- যা উন্নয়নশীল যে কোন দেশে তামাকজনিত গড় মৃত্যুর চেয়ে বেশি।

অনুষ্ঠানে রেবেকা পার্ল বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের অঙ্গীকার অনুযায়ী অসুস্থ্যতা ও অকালমৃত্যু কমিয়ে আনতে সরকারের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। তামাকের স্বাস্থ্যকর অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহায়ক হবে। এতে জনস্বাস্থ্যের উন্œয়ন ঘটবে এবং বর্তমান ও আগামী দিনে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশির জীবন বাঁচবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ