শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

প্রবাহমান মহেশখালে বাঁধ দিয়ে ১৫ লাখ মানুষের জীবনকে নরকে পরিণত করা হয়েছে

চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার একমাত্র প্রাকৃতিক খাল হিসেবে বিবেচিত মহেশখালকে হত্যাকারী মরণবাঁধ অপসারণের দাবিতে ৩ মার্চ স্থানীয় পুরাতন পোর্ট মার্কেট সংলগ্ন চত্বরে অনুষ্ঠিত এক বিশাল প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মহেশখালের মত একটা জোয়ার ভাটার প্রবাহিত খালকে ইট, কংক্রিট দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ শুধু একটা খালকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে খাল সংলগ্ন জনপদের পরিবেশ প্রতিবেশ এবং খাল সন্নিহিত ৪ ওয়ার্ডের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের জীবন ধারাকে। এই মহেশখালের বাঁধের কারণে বর্ষা ও অমাবস্যা পূর্ণিমাতে নগরীর ২৭, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮নং ওয়ার্ডে বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় থেমে যায় মানুষের স্বাভাবিক জীবন ধারা। মহেশখাল বাঁধের কারণে বাঁধের আশেপাশের পুঁতি দুর্গন্ধ যা বাতাস ভারী করে তুলছে।
তিনি বলেন,বদ্ধ পানিতে মশা মাছির বংশ বিস্তার করে পুরো নগরীতে ভায়বহ মশার আক্রমণে শিকার হচ্ছে নগরবাসী। পানি প্রবাহের খালকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে পরিবেশ ধ্বংস করে ১৫ লক্ষাধিক মানুষের স্বাভাবিক জীবন ধারাকে হুমকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে বন্দরের অর্জন কি সেটাই আজ সকল বিবেকবান মানুষের জানার বিষয়। যদি মহেশখালে বাঁধ দিয়ে বন্দরের কোন আর্থিক বা অবকাঠামোগত লাভ না হয়ে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ যাদের বাপ দাদার ভিটে মাটিতে বন্দর স্থাপনা গড়ে উঠেছে তাদের উপর অন্যায় জুলুম করে লাভ কি?
 তিনি বলেন, যদি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে বাঁধ অপসারণ করা না হয় তবে বাঁধের কারণে এলাকার মানুষ জনদুর্ভোগে পড়ে গতবারের ন্যায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেয় তবে তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। প্রবাহিত মহেশখালের উপর বাঁধ নির্মাণকে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 ৩৭ ও ৩৮নং ওয়ার্ড সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের আহবায়ক হাজী হোসেন কোম্পানীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব  হাবিব শরীফের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজী জহুর আহমদ কোম্পানী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম, সহ-সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক হাজী মোঃ ইলিয়াছ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুল ইসলাম, ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ হাসান, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক   মোঃ আব্দুল মান্নান,   শওকত হোসাইন,   মাহবুবুল হক সুমন,  প্রমুখ।
 সভাশেষে মহেশখাল বাঁধ সৃষ্ট বিকট দুর্গন্ধ ও মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীদেরকে সুগন্ধি আগরবাতি ও মশার কয়েল বিতরণ করেন খোরশেদ আলম সুজন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ