বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শততম টেষ্টের সামনে বাংলাদেশ

নাজমুল ইসলাম জুয়েল : বাংলাদেশ দলের জন্য এখন আর টেষ্ট খেলাটা বড় কোন বিষয় নয়। এবার আরো একটি অর্জন যোগ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ললাটে। টেস্ট ক্রিকেটে ১৭ বছরে পা রাখলেও যতটা উন্নতি হওয়ার কথা তার খুব বেশি হয়নি। এখনো শেখার পর্যায়েই রয়েছে লাল-সবুজ পতাকাধারীরা। ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ৯৯ টেষ্ট খেলা হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এবার সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রয়েছেন মুশফিকুর রহিমের দল। বর্তমান অবস্থায় কিছুটা খর্বকায় দলে পরিণত হয়েছে শ্রীলংকা। মাহেলা জয়বর্ধনে আর কুমার সাঙ্গাকারার অবসরের পর যেন নতুন করেই শুরু করতে হচ্ছে দ্বীপ দেশটিকে। এছাড়া আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার তিলকারাত্নে দিলশানও নেই দলে। এসব হিসাব করলে শক্তিতে পিছিয়েই রাখতে হবে তাদেরকে। অন্যদিকে বাংলাদেশও খুব ভাল অবস্থায় নেই। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে কোন ম্যাচ জেতা হয়নি। এরপর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্টেও পরাজিত হয়েছে। তবে ভারতের মাটিতে খেলা সেই ম্যাচে পাঁচদিন পর্যন্ত খেলতে পারার বিষয়টিকে অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সে হিসেবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকার লড়াইটা একপেশে নয় হবে হাড্ডাহাড্ডি, এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের। চারবছর পর পূর্ণাঙ্গ সফরে এখন লংকায় রয়েছে বাংলাদেশ দল। চার বছর আগে গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ড্রয়ের কীর্তি গড়ে বাংলাদেশ দল। টাইগারদের সামনে সেই সুখস্মৃতি পুনরাবৃত্তির হাতছানি! আবারো একই গ্রাউন্ডে নামার অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিমের দল। ৭ মার্চ দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দু’দল। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে গলে একটি টেস্টই খেলেছে টিম বাংলাদেশ। কখনো ওয়ানডে বা টি-২০ ম্যাচ খেলা হয়নি। ২০১৩ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত আট সেঞ্চুরির সেই স্মরণীয় ম্যাচটি দাপটের সঙ্গেই ড্র করে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ৫৭০ রানের জবাবে স্কোরবোর্ডে ৬৩৮ রান তোলে সফরকারীরা। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি উদযাপন করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১৯০ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন মোহাম্মদ আশরাফুল। মুশফিক-আশরাফুলের পর সেঞ্চুরি হাঁকান নাসির হোসেন। তাইতো বলাই যায়, গলে অপরাজেয় বাংলাদেশ। সময়ের সঙ্গে যারা এখন আরো বেশি পরিণত। ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়, ভারতে গিয়ে একমাত্র টেস্টে লড়াকু পারফরম্যান্স প্রদর্শন সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরেও গল টেস্ট দিয়ে দুর্দান্ত শুরুর প্রত্যাশা বাংলাদেশের অগণিত ক্রিকেটপ্রেমীদের। পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। সাদা পোশাকে এখন পর্যন্ত ১৬ বারের দেখায় ১৪ ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। কিন্তু, সবশেষ দু’টি সিরিজ ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। চার ম্যাচের মধ্যে দু’টি ড্রতে নিষ্পত্তি হয়। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত দু’দলের সবশেষ ম্যাচটিতে জয় পায়নি কেউই।
মোহাম্মদ আশলাফুলের
স্মৃতিতে উজ্জল গল টেষ্ট
শ্রীলংকাকে কোনভাবেই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। অনেক অর্জন যে এই দেশটির বিপক্ষে। সে কারণেই টেষ্ট ক্রিকেটে সবকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের শ্রীলংকাকে নিয়ে মূল্যায়ন ছিল এরকম, ‘পাকিস্তানের মুলতানে যখন আমরা এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ পাকিস্তানের কাছে তিনদিনে টেস্ট হেরে যাই, তখন চলছিল শ্রীলঙ্কা-ভারত টেস্ট। মুলতান টেস্ট শেষ হবার পর ড্রেসিংরুমে কোচ ট্রেভর চ্যাপেল আমাকে আলাদাভাবে ডেকে বলেছিলেন ‘পরবর্তী টেস্টে তোমার অভিষেক হবে’। সম্ভবতঃ বোর্ড থেকে ওই নির্দেশনা পেয়েছিলেন তিনি। কোচের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়ে অভিষেকের জন্য মুখিয়ে ছিলাম, অন্যরকম শিহরণ অনুভূত হলো। হোটেলে বসে শ্রীলঙ্কা-ভারতের ওই টেস্ট দেখেছি, মুরালী কি ধরনের বল করেন, তাকে কি ভাবে খেলতে হবেÑসে কৌশল বের করতে। ওয়াহিদ স্যারের অঙ্কুর এ আমরা একসঙ্গে যারা অনুশীলন করতাম, তাদের মধ্যে ইব্রাহিম সাগর নামে একজন ছিল ও খুব ভাল দুসরা করতে পারতো’। অ্যাশ আরো বলেন, ’নেটে ওর বল ফেস করে মুরালীর দুসরা’র মোকাবেলা কিভাবে করতে হবে, তার প্র্যাকটিসটা করতে পেরেছিলাম। ওয়াহিদ স্যার নিজেও লেগ স্পিনার, তিনি গুগলি করতে পারতেন, তার বলও ফেস করতে হতো অঙ্কুরের অনুশীলনে। কলম্বো টেস্টের আগের দিন যখন দল ঘোষণা করা হয়, তখন মনি ভাই’র পরিবর্তে আমাকে দলে নেয়া হয়েছিল মূলতঃ লেগ স্পিনার কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে। ঠিক মনি ভাই যে পজিশনে ব্যাট করতেন, সেই ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয় আমাকে প্রথম ইনিংসে। ওই বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট জাতীয় লিগে ঢাকা মেট্রোর হয়ে সেঞ্চুরি করেছি, অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ ব্যাংক ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি করেছি’।
আশরাফুল আরো বলেন, ’রানের মধ্যে থাকায় টেস্ট অভিষেকে ভাল কিছু উপহার দিতে পারব, এ বিশ্বাস ছিল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৯০ রানে অল আউট, ওই সময়ে টেস্টে ওটাই ছিল আমাদের সর্বনিম্ন স্কোর। তারপরও আমি কিন্তু ওই ইনিংসে করেছিলাম সর্বোচ্চ ২৭। টেস্টে বড় ব্যবধানে হারছি যখন তখন কিছু একটা করে দেখানোর পণ ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে ভাল ব্যাটিং করেছি বলে দুর্জয় ভাই দ্বিতীয় ইনিংসে আমাকে ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন। বিশ্বাস করুন, ব্যাটিং করতে যখন যাই, তখন ড্রেসিংরুম থেকে কোন নির্দেশনা পাইনি। ব্যাটিং পার্টনার বুলবুল ভাই’র সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল, ১২৬ রানের পার্টনারশিপ করেছিলাম ওনার সঙ্গে। চার মারার প্রবনতা দেখে বুলবুল ভাই আমাকে একটা কথাই বলেছিলেন, ‘চারের জন্য আউট হইস না, টার্গেট সেট করে খেল’। লাঞ্চ ব্রেকের সময়ে যখন ৬৮ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলাম তখন মনে হলো চাইলে তো সেঞ্চুরি করতে পারি। প্রথম স্কোরিং শটটি সামারাবীরাকে ডাবলস দিয়ে, মনে আছে মুরালীর মোকাবেলায় প্রথম শটটিতে পেয়েছিলাম ২ রান। শুরুতে কনফিডেন্স পাওয়ায় স্বাচ্ছন্দে খেলতে সমস্যা হয়নি। মুরালীকে সহজে খেলছি, সম্ভবতঃ ৫টি চার মেরেছিলাম তাকে’। এরপর তো সেঞ্চুরিই করে বসলেন অ্যাশ।
শততম টেষ্ট রাঙ্গানোর প্রত্যাশা
টেষ্ট সিরিজের আগে একটি দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে শততম টেষ্টে ভালো কিছু করে দেখানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে স্বপ্নীল অভিষেক ঘটে মিরাজের। মাঝে ছয় মাস ব্যবধানে তিনি হয়ে উঠেছেন দলের অপরিহার্য অংশ। সাকিব-তাইজুলের সঙ্গে টাইগারদের স্পিন বিভাগের অন্যতম সেনানীও তিনি। দেশ ছাড়ার আগে মিরাজ জানালেন, মাঠে নিজের সেরাটা নিংড়ে দেবেন। বিশেষ করে শততম টেস্ট ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে চান তিনি। আগামী ১৫ মার্চ কলম্বোর পি সারা ওভালে শততম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। মাইলফলকের এ ম্যাচ সামনে রেখে মিরাজ বলেন, ‘চেষ্টা করব ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে। শততম ম্যাচটি খেলার সৌভাগ্য হলে ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করব।’
মাত্র কয়েক দিন আগেই ইএসপিএন ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা মিরাজ লংকানদের নিয়ে সমীহভরা কণ্ঠে বলেন, ‘ওরা অনেক অভিজ্ঞ দল। বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে দলে। তাদের মাটিতে খেলা, তাই সব দিক থেকেই ওরা এগিয়ে থাকবে।’ এর আগে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের সেরা সুযোগের কথা জানান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অধিনায়কের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের দলেও বিশ্বমানের ক্রিকেটার রয়েছেন। সিনিয়ররা অসাধারণ খেলছেন। জুনিয়ররাও অবদান রাখছে। চেষ্টা থাকবে নিজের সর্বোচ্চটা দেয়ার। আমার পারফরম্যান্সে দল জিতলে তা অনেক ভালো লাগার হবে। সেটাই চেষ্টা করব।’ দেশ ছাড়ার আগে মুশফিকুর বলেছেন, শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের ‘সেরা’ সুযোগ দেখছেন তিনি।
দেশের বাইরে নিজেদের প্রমাণের উপযুক্ত সময়
দেশে বাংলাদেশ যতটা ভাল দল বিদেশে ঠিক ততটা নয়। সে কারণে এবার নিজেদের সামর্থের পুরোটাই প্রমাণের পালা। কুমার সাঙ্গাকারা-জয়বর্ধনে-দিলশান বিহীন দলের সামনে তাই বেশ আত্মবিশ্বাসীও মুশফিক বাহিনী। এবার বিদেশের মাটিতে অনেক আক্ষেপ মেটানোর সুযোগও তাদের সামনে। বিশেষ করে দেশে টাইগাররা বেশ কয়েক বছর ধরে নিজেদের প্রমাণ করলেও বিদেশে পারফরম্যান্স একেবারেই মলিন। দেশের বাইরে এই পর্যন্ত ৪৫ টেস্টে জয় মাত্র ৩টি সেই সঙ্গে ড্রর সংখ্যাও সমান। ১০৪টি ওয়ানডে ম্যাচে জয় এসেছে মাত্র ২৩টি আর ১৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় ৬টিতে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন তার ৫০ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন ১০ ম্যাচ। এর মধ্যে লঙ্কার মাটিতেই তিনি খেলেছেন ৮টি টেস্ট। ওয়ানডে খেলেছেন ১৫টি। তার লঙ্কা অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মনে করেন এবারই সুযোগ বিদেশের মাটিতে নিজেদের রেকর্ডটা একটু ভালো করে নেয়ার। লঙ্কা সফরে দলের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের সামনে বেশ সুযোগ আছে ভালো কিছু করার। বিদেশের মাটিতে আমাদের পারফরম্যান্সটা খুব একটা ভালো না। এখনই সুযোগ সেই রেকর্ডটা পরিবর্তন করে নেয়ার। শ্রীলঙ্কাতে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। উইকেটগুলো খুব ভালভাবে চিনি। সেখানে আমাদের ব্যাটিংটা ভালো হয় অন্য দেশের তুলনাতে। যে দলটি পাঠানো হয়েছে তাদের সেই সামর্থ্যও আছে সেখানে দারুণ কিছু করার। বাকিটা মাঠে খেলেই তাদের প্রমাণ করতে হবে। যেমনটি ২০১৩ সালে গল টেস্টে করেছিল।’ দেশে দলের পারফরম্যান্স ভালো হলেও বিদেশের মাটিতে কেন পারছে না বাংলাদেশ দল? দেশের হয়ে বিদেশের মাটিতে ২৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। অবশ্য কোনোটিতে জয়ের দেখা পাননি। খেলেছেন ৩৭টি ওয়ানডে ম্যাচও। সেখানে জয় দেখেছেন মাত্র ৫টিতে।
বিশেষ ক্যাপ শততম টেস্টের জন্য
শততম টেষ্ট মানেই বিশেষ কিছু। শ্রীলংকা সফরে শততম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মাইলফলক টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শততম টেস্ট উপলক্ষে মুশফিক-সাকিবদের ‘স্পেশাল ক্যাপ ও ক্রেস্ট’ দেওয়া হবে। তবে দেশের বাইরে হওয়ায় বড় কোনো আয়োজন করতে পারছেন বলেও জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। ১৫ মার্চ কলম্বোর পি সারা স্টেডিয়ামে হবে বাংলাদেশের শততম টেস্টটি। ওই টেস্ট স্কোয়াডের সবাইকে স্পেশাল ক্যাপ ও ক্রেস্ট দেওয়া হবে। তার মানে খুব বেশি কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। শ্রীলংকার মাটিতে হচ্ছে বলেই জাঁকজমক করতে পারছে না বিসিবি।
এমনটাই জানান জালাল ইউনুস, ‘শততম টেস্ট উপলক্ষে ক্রিকেটারদের বিশেষ ক্যাপ ও ক্রেস্ট দেওয়া হবে। তবে নিজেদের মাটিতে হলে আমাদের আয়োজনটা আরও বড় হতো।’ যদিও শততম টেস্টকে জাঁকজমকপূর্ণ ও স্মরণীয় করতে শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ডকে বিশেষ অনুরোধ করেছে বিসিবি। সে অনুযায়ী তারা একটি পরিকল্পনাও সাজাচ্ছে। ক’দিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে লংকান বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে বিসিবি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ