ইরানী হামলার আশঙ্কায় ‘সতর্ক’ ইসরাইল
১১ মার্চ, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট: সিরিয়ার গৃহযুদ্ধকে ব্যবহার করে ইসরাইলের বিপক্ষে ইরান যুদ্ধ করতে চায় বলে দাবি করলেন ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানইয়াহু। গোলান হাইটসের সীমান্তে ইরানী বাহিনী অবস্থান করাকে কেন্দ্র করে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তেহরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে। ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ও বাসিজ মিলিশিয়া বাহিনীকে সিরিয়ায় নিয়োগ দিয়েছে তারা। এছাড়া হিজবুল্লাহকে অর্থ সহায়তা দেয়ার কথাও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
এই মুহূর্তে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত গোলান হাইটসে অবস্থান করছে আইআরজিসি বাহিনী। ইরানের বাসিজ ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাগড়িকে সীমান্তে দেখা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, শিয়া আধাসামরিক বাহিনী ‘গোলান লিবারেশন ব্রিগেড’ নামে একটি বাহিনীও তৈরি করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক মুখপাত্র জানান, হারাকাত হিজবুল্লাহ আল-নুজাবা ইরান সমর্থিত একটি ইরাকী বাহিনী। ‘ইসরাইলী দখল থেকে গোলান মুক্ত’ করতে চায় তারা। এই মোতায়েনের কারণে ইরান সরকার এখন সিরিয়া যুদ্ধে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসলো। রাশিয়া ও তুর্কি প্রতিনিধিদের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি নিয়েও আলোচনা করেছে ইরান।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে কয়েকডজন বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তাদের দাবি, তারা ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ বাহিনীর অস্ত্র পাচার ঠেকাতে হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের হামলায় আইআরজিসির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলি আল্লাদাদিও ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। তবে এই হামলার অনুমতি দেয়ার কথা বারবারই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
১৯৬৭ সালের ছয়দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর সিরিয়ার গোলান মালভূমির একটা বড় অংশের দখল নেয় ইসরাইল। এরপর ১৯৭৩-৭৪ সালের যুদ্ধে এই মালভূমি পুনর্দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সিরিয়া।