শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রামগঞ্জে চৈত্র মাসেও প্রচন শীত-কুয়াশা

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা: গতকাল চৈত্রের দুই তারিখ, অথচ প্রচন্ড শীত। দিনের বেশিরভাগ সময়ই গায়ে গরম জামা রাখতে হয়। রাতে কম্বল গায়ে ছাড়া ঘুমানোর কথা ভাবা যায় না। সকালে ঘুম থেকে উঠলেও দেখা যায় প্রচুর কুয়াশা। 

চৈত্রের এমন পরিবেশে উপজেলাব্যাপী প্রায়ই ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া। ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে টানা বৃষ্টির কারণে জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র এখনো বিরাজ করছে প্রচ- শীত। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে শহরের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো একপ্রকার ফাঁকা হয়ে যায় শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে। অনেকেই জানান, ভরা শীতের মওসমেও এমন শীত পড়েনি, অথচ চৈত্র মাসে এমন শীতে নাজেহাল উপজেলাবাসী। ভোরে কুয়াশায় ঢাকা থাকে প্রকৃতি। এদিকে অসময়ে শীতের কারণে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া। রামগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি হসপিটালে গিয়ে দেখা যায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সবচেয়ে বেশি রোগী শিশু ও বৃদ্ধরা।  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া জানান, চৈত্র মাসে এত শীত তা আগে তেমন অনুভব করিনি। অথচ অসময়ের শীতে গত এক সপ্তাহ থেকে জ্বর ও গলা ব্যথায় ভুগছি। বাধ্য হয়ে সরকারি হসপিটালে এসেছি চিকিৎসা নিতে। রামগঞ্জ জনতা মা শিশু ও জেনারেল হসপিটালে জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন ভর্তি হয়েছেন। 

জনতা মা শিশু ও জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসক ডাক্তার আবদুল্লাহ আল মাঈদ জানান, এত শীত চৈত্র মাসে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিনই রোগী আসে, যার অধিকাংশই শীতজনিত।

রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, আসলে প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে রোগী আসে চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে তো, তাই শীত এখনো রয়ে গেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ