শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার : ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ১৬ বছর। এরমধ্যে ১৬ বার শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়ে মাত্র একম্যাচ ড্র। বাকী সব ম্যাচে হার, অবশেষে ১৭তম ম্যাচে এসে জয় ধরা দিল ২০১৭ সালে। তা-ও আবার টাইগারদের শততম টেস্টে। মুশফিক বাহিনী ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন চার উইকেটের জয় দিয়ে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের খবর। বিবিসি তাদের শিরোনাম করেছে, ‘শততম টেস্টে টাইগারদের জয়।’ সেখানে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির কথা। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে টেস্টে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল মুশফিকের দল। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। বিবিসি সব শেষে লিখেছে, শততম টেস্ট জিতেছে এমন দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের শততম টেস্টে জয় পেয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, টাইগারদের গর্জনে লঙ্কানদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়। তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের পত্রিকা স্টাফ শিরোনাম করেছে, নিজেদের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। টাইগারদের প্রশংসায় স্টাফ লিখেছে, গত পাঁচ মাসে মেজর টেস্ট খেলুড়ে দুটি দেশের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। কলম্বোর পি পাসা ওভারে শততম টেস্টে ৪ উইকেটে লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ১-১ ব্যবধানে। পাকিস্তানের দ্য ডন তাদের শিরোনাম করেছে এভাবে, ১০০তম টেস্টে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়।’ পাকিস্তানের আরেক পত্রিকা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন একই শিরোনাম করেছে। টাইগারদের প্রশংসা করেছে তারা। কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দরাজার শিরোনাম করেছে, তামিমের ব্যাটে শততম টেস্টে বাংলার জয়গান। শুরুতেই লিখেছে, সম্ভাবনা উঁকি মারতে শুরু করেছিল শনিবার থেকেই। শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে পরিণত করে নাটকীয়ভাবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্টে জয় পেল বাংলাদেশ। যার ফলে সিরিজ শেষ হলো ১-১।
এরআগে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ছিল শততম টেস্টে জেতার। এবার সেই ক্লাবে ঢুকে পড়ল বাংলাদেশও। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্টে এটি প্রথম জয় বাংলাদেশের। এনডিটিভি শিরোনাম করেছে, শ্রীঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রশংসার পাশাপাশি লংকান ক্রিকেটারদেও মুন্ডুপাত করেছে সে দেশের মিডিয়া। বাংলাদেশ যখন নিজেদের কৃতিত্বে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে, তখন লঙ্কানরা একে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে পরাজয় হিসেবেই চিহ্নিত করছে। লঙ্কান অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ নিজেও বলেছিলেন, তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে পরাজয় এটি। কলম্বোর পি সারা ওভালে বাংলাদেশের কাছে শ্রীলঙ্কার হেরে যাওয়ার পর স্বাগতিকদের মাঝেও যেন পরাজয়ের জ্বালাটা বেশ তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে। দ্য স্পোর্টিং টাইমসের অনুকরণে শ্রীলঙ্কার দ্য আইল্যান্ড পত্রিকাও লঙ্কান ক্রিকেটের মৃত্যু ঘোষণা করে দিয়েছে। একই সঙ্গে লিখেছে, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট মৃত এবং এর ছাইভস্ম পাঠিয়ে দেয়া হোক বাংলাদেশে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ