শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে আগুন লাগার সংযোগ রয়েছে -ড. মঈন খান

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত স্বাধীনতার ৪৬ বছর প্রেক্ষিত বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে আগুন লাগার সংযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩২ তলা ভবনের মধ্যে কেনো ১৩ এবং ১৪ তালায় আগুন লাগলো? যে দুই তালায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কাজ করা হয়। এতেই বোঝা যায়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ড. মঈন  খান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩২ তলা ভবনের মধ্যে কেনো ১৩ এবং ১৪ তালায় আগুন লাগলো? যে দুই তালায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কাজ করা হয়। কারণ ফিলিপাইন দাবি করেছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নায়ক ব্যাংকের ভিতরের ব্যক্তিরা। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে কি আগুন লাগার পিছনে কোন সংযোগ আছে।
‘স্বাধীনতার ৪৬ বছর প্রেক্ষিত বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি ড. মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ব্যাংক ছুটির সময় হয়েছে। এবারও ব্যাংকে ৩ দিনে ছুটির মধ্যে আগুন লেগেছে। সুতরাং রিজার্ভ চুরির সাথে কি আগুন লাগার কোন সংযোগ আছে। এমন প্রশ্ন উঠতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার সময় আমি একটি টেলিভিশনে লাইফ দেখতেছিলাম। একজন রিপোর্টার আগুন লাগার সংবাদ দেখাচ্ছিলেন, ওই সময় আমি লক্ষ্য করলাম, রিপোর্টার যখন ভিতরের রহস্য বের করতে যাচ্ছে ঠিক তখনই তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এ ঘটনা বেশ কয়েক বার ঘটেছে।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এর আগেও কি বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হয়েছে, যেটা প্রকাশ পায়নি। এ প্রশ্নের উত্তর আপনাদেরকেই দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে ড. মঈন খান বলেন, পত্র-পত্রিকায়  দেখলাম প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারত চাইছে, অন্য  কেউ চাইছে না। আমাদের চারদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারত। অন্য কোনো  দেশ নেই। তাহলে  কেন এই চুক্তি, কার স্বার্থে এই চুক্তি- এটা আজ মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্ন। কারণ সরকার সেটা প্রকাশ করেনি।
সামরিক চুক্তির মাধ্যমে একটি দেশ আরেকটি দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বর ওপর হস্তক্ষেপ করবে বলে মন্তব্য করেন মঈন খান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ