শ্রীলঙ্কাকে ৩২৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক: ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তামিমের সেঞ্চুরির সুবাদে ৩২৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। এখানে এই রানই এখন পর্যন্ত কোন দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও এই রান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে টাইগারদের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ইনিংসের মাঝপথে চার বলের ব্যবধানে সাব্বির-মুশফিককে হারিয়ে যে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ, তামিম ইকবাল শতক হাঁকিয়ে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন। আজ শুরু থেকেই দারুন দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে তবেই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার। তার সেঞ্চুরির সঙ্গে সাব্বির-সাবিকের অসাধারণ দুটি হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই শ্রীলঙ্কার সামনে ৩২৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
১২৭ বলে শতকে পৌঁছান তিনি।শেষ পর্যন্ত ১২৭ করে আউট হন। এটি তার ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে সেঞ্চুরি করেছিলেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১১৮ রান করেন। তামিম এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে দশহাজার রানের মাইলফলকে পা দেন।
শনিবার ডাম্বুলায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ২৯ রানের জুটিও গড়েন তারা দু’জন। তবে ইনিংসের ৫ম ওভারে এসে সুরাঙ্গা লাকমালের বলে ধরাশায়ী হন সৌম্য। অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল অযথাই খোঁচা মারতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন এ ওপেনার।
এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন তামিম। ৯০ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে চাপমুক্ত করেন তিনি। তবে দলীয় ১১৯ রানের মাথায় এ জুটি ভাঙেন অ্যাসেলা গুনারত্নে। অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গার দুর্দান্ত এক ক্যাচের বলি হন সাব্বির। ঝাঁপিয়ে পড়ে বাজ পাখির মত ক্যাচ লুফে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন সাব্বির। ৫৬ বলে ১০টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।
এরপর পরের ওভারেই দলের বিপদ বাড়িয়ে আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহীম। লক্ষণ সান্দাকানের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। নামের পাশে যোগ করতে পেরেছেন মোটে ১ রান। ফলে ১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এ অবস্থায় সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম ইকবাল।
সাকিব-তামিমের ব্যাটেই মূলতঃ বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় টাইগাররা। ১৪৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ২৬৪ রানে লাকমালের দ্বিতীয় শিকার হন সাকিব। তার স্লোয়ার বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে সান্দাকানের হাতে ধরা পড়েন এ অলরাউন্ডার। ৭১ বলে ৭২ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। সাকিবের এই ব্যাটিং দেখেই বোঝা যায় তিনি কতটা সাবধানি ব্যাটিং করেছেন আজ।
লাহিরু কুমারার করা ৪৮তম ওভারে চতুর্থ বলে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে চক্কা হাঁকান তামিম। পরের বলে আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অনে গুনাথিলাকার হাতে ধরা পড়েন তিনি। তবে আউট হওয়ার আগে দলের জন্য কাজের কাজটি করে যান তিনি। ১২৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ১৪২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৫টি চার ও ১টি ছক্কা। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৯ বলে ২৪ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭ বলে ১২ রান করেন। ফলে ৫ উইকেটে ৩২৪ রানের বড় সংগ্রহই পায় বাংলাদেশ দল।