শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে বৈদ্যুতিক লাইনের খুঁটি নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ভুমি মালিকদের উপযুক্ত মূল্য দাবি

আব্দুল্লাহ আল-মামুন, খাগড়াছড়ি : পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিঃ (পিজিসিবি) ১৩২ কেভি (জিএনডিপি) ০৩-০৪-১৪ইং প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদ্যুতিক খুঁটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকগণ নিয়মানুযায়ী তাদের ফল-ফসলের উচিৎ মূল্য দাবি করেছেন। 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি (পিজিসিবি)’র ১৩২ কেভি গ্রীড নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ইন ইস্টার্ণ রিজিওন (জিএনডিপি) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চন্দ্রঘোনা-খাগড়াছড়ি ভায়া রাঙামাটি ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন (প্রায় ৮৯ কিঃমিঃ) নির্মাণ প্রকল্পে অন্যান্য এলাকার ন্যায় বগাছড়ি থেকে ৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, মহালছড়ি পর্যন্ত ৬০টি ও মানিকছড়ি চন্দ্রঘোণায় ৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি নির্মাণ কাজ চলছে। এ নির্মান কাজ চলাকালীন ভূমি, ফলজ ও বনজ সম্পদের (সেগুন-গামারী গাছ) ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ক্ষতিপূরণের তালিকার মধ্যে সেগুন-গামারীসহ মূল্যবান গাছের কোন উল্লেখ না থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ ভুমির মালিকগণ ক্ষতিপূরণের পরিমান নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে বাগান ও জমির মালিকগণ অন্যান্য ফল-ফসলের সাথে সেগুন-গামারীসহ মূল্যবান কাঠ জাতীয় গাছের উচিৎ মূল্য নির্ধারনের বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অদ্যাবধি মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত কিছু জানাতে পারেননি।
এদিকে, কেংগালছড়ির ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিপন চাকমা ও নানিয়ারচর’র বগাছড়ি এলাকার শরিফুল ইসলাম সহ একাধিক ভূমির মালিকগণ জানান, কন্ট্রাক্টরের ভাষ্যমতে ভুমির কোন মূল্য দেয়া হবে না তবে খুঁটি নির্মাণে ঢালাই কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই অন্যান্য ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা হবে। অনেক এলাকায় ঢালাইর কাজ সম্পন্ন হলেও রহস্যজনক কারণে ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না। ফলে আমরা কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছি। এরপরও আমরা এলাকাবাসী সরকারের কাজে সহযোগীতা করতে প্রস্তুত রয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারি নিয়মে ভুমির মূল্য নির্ধারণ না থাকলেও নির্মাণ কাজ চলাকালীন স্তুপিকৃত মাটি সমান করার জন্য লেবার খরচ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ