শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সিরিয়ায় আসাদ রেড লাইন অতিক্রম করেছে -ট্রাম্প

৬ এপ্রিল, রয়টার্স : বেসামরিকদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস হামলা চালিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সিরিয়া ও আসাদের বিষয়ে তার মনোভাবেও পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি, তবে এসব প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ কীভাবে করবেন সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি।

গতবুধবার জর্দানের বাদশা আব্দুল্লাহর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব কথা বলেন।

গতমঙ্গলবার সকালে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের খান সেইখানে চালানো ওই রাসায়নিক গ্যাস হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত হন, এদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে।

এই হামলায়  ‘বহু সীমা’ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

আসাদকে অভিযুক্ত করে ট্রাম্প স্পষ্টতই সিরীয় প্রেসিডেন্টের মূল সমর্থক মস্কোর সঙ্গে দ্বিমতের পথে গেলেন। 

আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে বিমান হামলা চালিয়ে তাকে উৎখাত করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্পের পূর্বসূরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে এ ধরনের কোনো হুমকির বা ইঙ্গিত দেননি ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বলবো, যা হয়েছে তা আমার কাছে অগ্রহণ যোগ্য। এবং আপনাদের বলতে চাই, সিরিয়া ও আসাদের বিষয়ে আমার মনোভাব অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেছে, ইতোমধ্যেই এটি ঘটেছে।

এর আগে এক বৈঠকের সময় ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি সিরিয়ার বিষয়ে নতুন কোনো নীতি গ্রহণ করছেন কিনা, ট্রাম্প উত্তর দিয়েছিলেন, “দেখতে পাবেন।”

প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ডাক দেয়ার সময় হয়েছে কিনা এবং দেশটির আকাশ সীমায় ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তোলা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ফক্স নিউজকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, “কিন্তু আমাকে পরিষ্কার করতে দিন, সব অপশনই সামনে আছে।”

রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহীদেরই দায়ী করেছে রাশিয়া, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

মাত্র কয়েকদিন আগে ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, আসাদকে ক্ষমতা থেকে হটানোর বিষয়টিতে আর জোর দিচ্ছে না তারা। কিন্তু ট্রাম্পের মন্তব্যে ওয়াশিংটনের সে অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত আছে।

সত্যিই এরকম কিছু হলে তা প্রাথমিক উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত সত্বেও ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ক্রেমলিনের বিরোধের সূচনা করতে পারে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ