শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজশাহীর পাঁচ উপজেলায় পৃথক অগ্নিকাণ্ডে বিপুল সম্পদের ক্ষতি

রাজশাহী অফিস : খরা মওসুম শুরু হতে না হতেই রাজশাহী অঞ্চলে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। গত দু’দিনে রাজশাহীর পাঁচ উপজেলায় আগুনে পুড়ে বিপুল সম্পদের ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে দুর্গাপুর পৌরসদর শালঘরিয়ার জামতলায় একটি পোল্ট্রি খামারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকাসহ ৫ হাজারের বেশি সোনালী মুরগি পুড়ে মারা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জামতলার ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বাবলুর পোল্ট্রি খামারে হঠাৎ আগুন লাগে। এসময় স্থানীয় লোকজন আসার আগেই খামারটি পুড়ে যায়। এতে খামারে থাকা ৫ হাজার ২২৫টি সোনালী মুরগি আগুনে পুড়ে মারা যায়। এছাড়াও আগুনে খামারে থাকা নগদ টাকা মুরগির খাদ্য ও বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে আগুনে সূত্রপাত কিভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার তশোপাড়া গ্রামে এক পান চাষির বরজ আগুনে পুড়ে যায়। ঐ গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে রহুল আমিন প্রায় ৬ বছর ধরে পান বরজে পান চাষ করে আসছিল। সেখানে কীভাবে আগুন লাগলো তা জানা যায়নি। একজন কৃষক জমিতে কাজ করার সময় আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের কয়েকশত লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। আগুনে পান বরজের ৩ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া শাহপাড়ায় ও দুপুরে পদ্মার চরাঞ্চলের দাদপুর গ্রামে আগুনে পাঁচটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়। এতে নগদ টাকা ও আসবাবপত্রসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে জানা যায়। পুলিশ জানায়, পাকুড়িয়া শাহপাড়ায় মোজাহার ফরাজি ও উত্তম শাহ’র বাড়ি ও দাদপুর গ্রামে আব্দুর রহমান মোল্লা, জামাল মোল্লা ও সালাম মোল্লার বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট ও চুলার আগুন থেকে এর সূত্রপাত। খবর পেয়ে চারঘাট ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাকুড়িয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করলেও তারা দুর্গম চর এলাকায় যেতে পারেনি। একই দিন দুপুর ১টার দিকে পুঠিয়ায় আগুনে পুড়ে ঘরবাড়ি ও গবাদি পশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এতে দুইটি ঘর একটি গোয়াল ঘর ও রান্না ঘর পুড়ে যায়। এলাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের নকুবাড়ীয়া গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে আনারুল ইসলামের স্ত্রী দুপুরের রান্নার কাজ শেষে গৃহস্থালীর অন্যান্য কাজ শুরু করে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করে রান্নাঘর থেকে আগুন পাশের শয়ন কক্ষে ছড়িয়ে যায়। পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আসবাবপত্রসহ নগদ ২০ হাজার টাকা, রান্নাঘর, গোয়াল ঘর এবং গোয়াল ঘরে থাকা প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের দুইটি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায়। এতে তার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ