৩ ফসলি জমিতে ইটের ভাটা এলাকাবাসীর ক্ষোভ!
কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের কেশবপুরে বারুইহাটি মোড়ে শতশত ফলদ বৃক্ষ নিধনসহ ৩ ফসলি জমিতে ভাটা স্থাপনার কাজ বন্ধ করে দেয়ার এক মাস অতিবাহিত হতে না হতেই ভাটা মালিক পুনরায় ওই স্থানে ভাটা স্থাপনার কাজ চালিয়ে যেতে বিভিন্ন মহলে দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইতোপূর্বে ভাটা স্থাপন কাজে বাধা দেয়ায় ভাটা মালিকের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় ১০ কৃষক গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় ভাটা মালিক ও হামলার নেতৃত্ব দানকারীদের নামে পুলিশ মামলা না নিয়ে ভাটা শ্রমিকদের নামে মামলা নিয়ে উদোর বোঝা বুধোর ঘাড়ে চাপিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জানুয়ারী মাসে উপজেলার বারুইহাটি চৌরাস্তা মোড়ে জনবসতিপূর্ণ এলাকার শতশত নারিকেল ও আম গাছ নিধনসহ ৩ ফসলী জমি গ্রাস করে ভাটা মালিক কড়িয়াখালী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান রোমান ব্রিকস নামের একটি ইট ভাটা স্থাপনার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। রাস্তাঘাট, পরিবেশের বিপর্যয়, শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘœ ঘটাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় সেই থেকে এলাকাবাসি ওই স্থানে ভাটা স্থাপনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন সমাবেশ করে আসছে।
এর প্রতিকার চেয়ে এলাকার দেড়শতাধিক কৃষকের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ প্রশাসনের একাধিক দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।
সে সময় একাধিক পত্র পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হলে গত ৭ মার্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কামিশনার ভূমি কবীর হোসেন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কাগজপত্র সঠিক না থাকায় বারুইহাটি মোড়ের রোমান ব্রিকসের স্থাপনার কাজ বন্ধ করে দেয়।
এরপরও ভাটা মালিক সিদ্দিকুর রহমান পুনরায় ওই স্থানে ভাটা স্থাপনাসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়ার জন্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন।