চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে চালু হচ্ছে সার্ভিলেন্স ডিভাইস -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশের টেকনাফ এবং মিয়ানমারের মংডু সীমান্তে লঞ্চ সার্ভিস চালুর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটি’র সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টেকনাফ এবং মংডু সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই মানুষ যাতায়াত করছে। অনেক পযর্টক যাচ্ছেন। এটাকে একটা সিস্টেমে আনতে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হচ্ছে, যাতে সবকিছু একটি কাঠামোর মধ্য দিয়ে চলে।’ মন্ত্রী জানান, টেকনাফ দিয়ে অনেক পর্যটক এবং এলাকাবাসী মিয়ানমারের মংডুতে যায়। সেখান থেকেও একদিনের অনুমতি নিয়ে অনেকে টেকনাফ আসেন। সবাইকেই চেক করা হয়। আবার অবৈধভাবেও অনেকে যাতায়াত করে। তাই এটাকে একটা ফরমাল সিস্টেমে আনতে চাই। এটি করা গেলে তখন কেউ অবৈধ যাতায়াত করবে না বা চোরাচালান করতে পারবে না।
প্রেস বিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অক্টোবর ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ১ লাখ ৮৫ হাজার চোরাচালান বিরোধী অভিযান হয়েছে। এর মধ্যে মামলা হয়েছে ৯ হাজার ৮৩৪টি, আটক হয়েছে ৮ হাজার ৬৫০ জন। আর সাজা হয়েছে ২ হাজার ৬৩৩ জনের।
চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান হয়, মাদক ব্যবসা হয়। এর সঙ্গে অনেক প্রভাবশালীরা জড়িত। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে যাতে চোরাচালান না হতে পারে সে জন্য সীমান্তে অত্যাধুনিক সার্ভিলেন্স ডিভাইস চালু করা হবে। রেললাইনগুলোতে চোরাচালানের মাল পাওয়া যায়। রেল পুলিশের তৎপরতাও বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সারাদেশে চোরাচালানবিরোধী টহল আরও জোরদারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত দিয়ে চোরাচালন ও মাদক ব্যবসায় অনেক প্রভাবশালীরা জড়িত। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া রেল লাইনে চোরাচালানের মাল পাওয়া যায়। সেখানেও রেল পুলিশের তৎপরতা বাড়ানোসহ সারাদেশে চোরাচালান বিরোধী টহল আরও জোরদারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চোরাচালান বন্ধে টেকনাফ এবং মিয়ানমারের মংডু সীমান্তে লঞ্চ সার্ভিস চালুর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। টেকনাফ এবং মংডু সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই মানুষ যাতায়াত করছে। অনেক পর্যটক যাচ্ছেন। এটাকে একটা সিস্টেমে আনতে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হচ্ছে, যাতে সবকিছু একটি কাঠামোর মধ্য দিয়ে চলে।