মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নীলফামারীতে বোরো ধানে ভাইরাস ॥ কৃষকরা দিশেহারা

নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর গ্রামের পর গ্রামে বোরো ক্ষেত নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। বোরো ক্ষেত শিষ শুকানো রোগের কবলে পড়ায় কপালে হাত পড়েছে তাদের।
কূলকিনারা হারিয়ে ফেলেছেন বোরো চাষিরা। কোন কিছুতেই শিষ শুকানো রোধ করা যাচ্ছেনা। কৃষি বিভাগ যে ওষুধ দিতে বলছে তাতেও কিছু হচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছোঁয়াচে রোগের মতো চোখের পলকেই এক্ষেত থেকে ও ক্ষেত আক্রান্ত হচ্ছে এ ভয়াবহ শিষ শুকানো রোগে। সকালে যে জমি খানিকটা ভাল ছিল দুপুর গড়াতে না গড়াতেই সে জমির ধানের শিষ সাদা হয়ে যাচ্ছে। নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের প্রসিদ্ধ ধানচাষী ছাইদুর রহমান জানান, বোরো ২৮ ধানের ক্ষেতে যেন মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে শিষ শুকানো রোগ। সদরের চাড়ইখোলা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের মংলু ও ছাইদ ইসলাম জানান, ধান ক্ষেতের দুরবস্থা দেখে চোখের পানি ধরে রাখা যাচ্ছেনা। সবই শেষ হয়ে গেছে। টুপামারী ইউনিয়নের বাজার মৌজা গ্রামের সিদ্দিক আলী, রজব আলী, শরিফুল ইসলাম, পৌর এলাকার মোরাদ আলী, হবিবর রহমান সহ অনেক কৃষক জানান তাদের ধান ক্ষেতে ব্যাপক হারে এই রোগ দেখা দেওয়ার তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি বিভাগ একেবারে অসার। এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা যে ওষুধের কথা কৃষকদের বলছেন (নাটিভো, এমিষ্টাটপ, কাছুমিন, ট্রুপার, জীল) তা দিয়ে কোন কাজই হচ্ছেনা। এব্যাপারে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জি.এম ইদ্রিস আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রংপুরে থাকায় অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কেরামত আলীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিং-এ রয়েছেন, এ বিষয়ে কথা বলার সময় নেই বলে জানান। কৃষি বিভাগের অপর একটি সূত্র জানায়, চলতি বছর গোটা জেলায় ৮২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১১০ মেঃটন।
তবে কৃষকরা জানায়, জেলার প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ব্রিধান-২৮ বোরো ক্ষেত শিষ শুকানো রোগের কবলে পড়ায় কোন ভাবেই  এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবেনা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ