শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ছাতকে বর্ষণ-বন্যায় সাড়ে ৪শ’কোটি টাকার ক্ষতি

ছাতক (সুনামগঞ্জ) : ছাতকের দোলারবাজার ইউপির হাওয়াজিয়া-পাচবিলা হাওরে পানি থৈ থৈ করছে -সংগ্রাম

ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা : ছাতকে এবারে চৈত্র মাসের প্রথম দিকে আসা আগাম বন্যায় ১২হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে উপজেলার ৮৪হাজার ৪শ’ ৩০পরিবারে নেমে চরম অমানিশা। বন্যায় সাড়ে চার শ’কোটি টাকার ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন এলাকাবাসি। ১৩ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ছাতক উপজেলায় অন্যান্য এলাকার ন্যায় আগাম বন্যায় কৃষকের সব স্বপ্ন স্বাধ ভেঙ্গে দিয়েছে। এখানে পানিতে তলিয়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২হাজার হেক্টর জমির ফসল। এখানে ৮৪হাজার ৪শ’ ৩০টি পরিবার ছাড়াও আদিবাসি সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে ২হাজার ৮শ’ ২৬জন। এরমধ্যে অনেক পরিবার ব্যবসা-বাণিজ্য করলেও সমাজের সকল শ্রেণীর পরিবার বিভিন্নভাবে কৃষি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। অনেকের জমি না থাকলেও জমি প্রান্তিক ও বর্গা নিয়ে ফসল ফলান। এখানে ১২টি খালের প্রায় সবগুলোই এখন কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। সোয়া ৩লক্ষাধিক জনসংখ্যার এ উপজেলায় জলমহাল রয়েছে ৬০টি। এবারে ১১হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোর ফসল ফলানো হয়। এতে সাড়ে ৪শ’কোটি টাকার চাল উৎপাদন হতো। কিন্তু বন্যায় তাদেরে একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে। ফলে এখন ধনী-গরিব সবাই যেন এককাতারে এসে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগে কৃষক যেন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখানে ধান না ওঠায় গোখাদ্য সঙ্কট তীব্রতর হচ্ছে। এঅবস্থায় অনেকে পানির দরে বিক্রি করছেন গবাদিপশু। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসির উল্লাহ জানান, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১০হাজার কৃষকের নামে জনপ্রতি ৩ কেজি চাল ও নগদ ৫শ’টাকা করে বরাদ্দ এসেছে। এগুলো ১২দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ একে বদরুল হক জানান, আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৩৮হাজার ২শ’ ৬জন কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। এদিকে সুনামগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা আসার খবরে এখন কৃষককূলে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। ধান, মাছ, হাঁস, গবাদিপশু ও সবজিসহ সব কিছু হারিয়ে নির্বাক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে প্রধানমন্ত্রী কি নতুন বার্তা নিয়ে আসছেন এ প্রত্যাশায় প্রহর গুনছেন ছাতকবাসী।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ