শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দশ বছরে দেশ থেকে তিন লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা পাচার

স্টাফ রিপোর্টার : শত চেষ্টা করেও বিদেশে অর্থ পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে গত দশ বছরে দেশ থেকে নানা পন্থায় তিন লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) প্রকাশিত বিদেশে অর্থ পাচারসংক্রান্ত এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। 

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৫৫৮ কোটি মার্কিন ডলার বা ৩৫ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা পাচার হয়। আর ১০ বছর ব্যবধানে প্রতিবছর অর্থপাচারের গড় হার বেড়েছে প্রায় তিন গুণের কাছাকাছি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে তিন লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

গত সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৪৯টি দেশের অর্থ পাচারের তথ্য উঠে এসেছে। জিএফআই ২০১৩ সালে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেটা থেকে জানা যায়, ২০১৩ সাল পর্যন্ত হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ৫৫৮ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে।

২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় ৩৩৪ কোটি ডলার। ২০০৫ সালে পাচার হয় ৪২৬ কোটি ডলার। ২০০৬ সালে পাচার হয় ৩৩৭ কোটি ডলার। তবে ২০০৭ সালে হয় ৪০৯ কোটি ডলার। ২০০৮ সালে পাচার ৬৪৪ কোটি ডলারে পৌঁছায়।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় ৬১২ কোটি টাকার বেশি। আর ২০১০ সালে হয় ৫৪০ কোটি ডলার। ২০১১ সালে হয় ৫৯২ কোটি ডলার। এর পরের বছর ২০১২ সালে পাচার হয় ৭২২ কোটি ডলার। আর ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ৯৬৬ কোটি ডলার।

প্রতিবেদনে ‘নতুন গবেষণা: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বড় এবং স্থায়ী অবৈধ আর্থিক প্রবাহ’ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়েছে, পণ্য বা সেবা আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং এবং রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এসব অর্থ পাচার করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই ১০ বছরের গড় হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত থেকে ৫৫ হাজার ৭ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। এছাড়া ওই সময়ে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই হাজার ৩২৩ কোটি, নেপাল থেকে ৫২৫ কোটি, পাকিস্তান থেকে পাঁচ হাজার ৮৯৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তান থেকে পাচার হয়েছে ১১ হাজার ৭৯৬ কোটি ডলার।

উল্লেখ্য, জিএফআই একটি অলাভজনক সংস্থা, যারা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবৈধ আর্থিক প্রবাহ বা মুদ্রাপাচার নিয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করে থাকে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সঙ্গে অর্থপাচার রোধে বিভিন্ন রকম পরামর্শের মাধ্যমে নীতিগত সহায়তা দিয়ে থাকে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ