সিলেটে প্রধান শিক্ষকের মারধরে গুরুতর আহত ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ॥ হাসপাতালে ভর্তি
সিলেট ব্যুরো : সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল আহমদ ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া হাবীবা (১৩) নামের এক ছাত্রীকে মারধর ও পরে ‘সজোরে গলা চেপে ধরেন’ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত হাবীবা বেগম এখন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ৩য় তলার ৮নং ওয়ার্ডে এখন চিকিৎসাধীন। হাবীবার বাবা মো. লালু মিয়া সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন গত বৃহস্পতিবার।
লিখিত অভিযোগে মোল্লারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল আহমদ ও সহকারি শিক্ষক রুহুল আমিনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘গত ২৯ এপ্রিল শনিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটে ক্লাস চলাকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের সহকারি শিক্ষক রুহুল আমিন হাবীবাকে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। ওই সময় হাবীবা ক্লাস থেকে বেরিয়ে না যাওয়ায় রুহুল আমিন বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে অবগত করেন। প্রধান শিক্ষক জামাল আহমদ ক্লাসে এসে হাবীবাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। একপর্যায়ে জামাল আহমদ সজোরে হাবীবার গলা চেপে ধরে প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। হাবীবা ধস্তাধস্তি করে নিজেকে রক্ষা করে। এসময় জামাল আহমদ হাবীবাকে সজোরে লাথি মেরে রুহুল আমিনের কাছে মাফ চাইতে বলেন। ওই সময় হাবীবা অজ্ঞান হয়ে পড়ে।’
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হাবীবাকে অজ্ঞানরত অবস্থায় স্কুল ছুটি দিয়ে জামাল আহমদ ও রুহুল আমিন চলে যান। তাৎক্ষণিক ক্লাসের শিক্ষার্থীরা হাবীবার মাথায় পানি দিলে তার জ্ঞান ফিরে। পরে বিষয়টি লালু মিয়ার ভাতিজা ইমন ও ভাতিজি নাজমা আক্তার তাকে (লালু) অবহিত করেন। লালু মিয়া সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবীবাকে স্বাভাবিক অবস্থায় না পেয়ে চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। হাবীবার অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালের ৩য় তলায় ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে লালু মিয়া বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি স্কুল কমিটির সভাপতি হাজী মন্নান মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন।’
তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো আশ্বাস না পেয়ে মো. লালু মিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জামাল আহমদ (৩০) মোল্লারগাঁওয়ের সিকান্দর আলীর ছেলে। রুহুল আমিন (২৭) জালালাবাদ থানার শাহপুর দক্ষিণ পাড়ার ছইল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জামাল আহমদের মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদক গত শুক্রবার কয়েকবার ফোন দিলেও মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।