তেরখাদার পানতিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
খুলনা অফিস : খুলনার তেরখাদা উপজেলার পানতিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূলভবনটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, ক্লাশ কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উক্ত ভবনটি নির্মাণের সময় নিম্নমানের কাজ সম্পাদন করায় অতি অল্পদিনেই ভবনের ছাদ ও দেয়াল ফেঁটে চৌঁচির হয়ে যায়। ভবন থেকে অবিরাম পলেস্তার খসে লোহার রড বেরিয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ফ্লোর ভেসে যায়। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা উক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাশ করলেও ভবনটি একেবারে ব্যবহার অনুপোযোগী হওয়ায় বর্তমানে ওই ভবনে ক্লাশ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯১৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন পানতিতা কাটেঙ্গা, জয়সেনা ও বারাসাত এলাকার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ। ওই সময় বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় পানতিতা বোর্ড স্কুল নামে। পরে সরকারিভাবে পানতিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে নামকরণ করা হয়। ২০১৬ সালে বিদ্যালয়টি শত বছরে পদার্পণ করে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নানাবিধ সমস্যা একের পর এক লেগেই আছে। বর্তমানে শিক্ষকদের অন্য ভবনের একটি মাত্র ক্লাশরুমে এবং বারান্দায় অতিকষ্টে ৫টি শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিক ক্লাশ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শিক্ষকরা। ২/৩ টি ক্লাশ পরিচালনা করছেন ভবনের বারান্দার ফ্লোরে বসিয়ে। আবার কোন কোন সময়ে খোলা আকাশের নীচে বসে ক্লাশ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া দারুণভাবে বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে নানাবিধ সমস্যা লেগে থাকার কারণে অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত জনপদের কোমলমতি শিশুসন্তানেরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ক্লাশরুম সংকট থাকার কারণে শিক্ষার হার কমে যাওয়ার এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়াসমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে পানতিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন জানান, যে সব বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁিকপূর্ণ হয়ে পড়েছে বা সমস্যা আছে, সেসব বিদ্যালয় সনাক্ত করে নতুন ভবনের জন্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তেরখাদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. কামরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১৯টি বিদ্যালয়ের মূলভবন খুবই ঝুঁিকপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অনেকভবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে এগুলো দেখা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।