শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মুক্তি না দিয়ে আল্লামা সাঈদীর উপর জুলুম করা হয়েছে -ছাত্রশিবির

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, মুক্তি না দিয়ে আল্লামা সাঈদীর উপর জুলুম করা হয়েছে। দেশ বিদেশের বিবেকবান কেউ এ রায় মেনে নেয়নি। কারণ এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।  

গতকাল সোমবার দেয়া বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য প্রতারণার মাধ্যমে দেলোয়ার সিকদারের অপকর্মের দায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আল্লামা সাঈদীর সাথে যুদ্ধাপরাধের সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে একজন সেক্টর কমান্ডারসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষী দিয়েছেন। এমনকি রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী আল্লামা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে গেলে স্বয়ং ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করে ভারতের দমদম কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষীদের গোপনে সাক্ষ্য গ্রহণের নাটক, সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য, ভুল ও বানোয়াট তথ্যপ্রমাণ পেশ, মন্ত্রী এমপিদের আগাম রায় ঘোষণার প্রতিফলন এবং স্কাইপি কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়ে যায় যে, আল্লামা সাঈদী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আল্লামা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড তো দূরে থাক এক মিনিটের দণ্ড দেয়ারও যৌক্তিক কোন কারণ নেই। দেশাবাসী আশা করে ছিল যে, উচ্চ আদালতে আল্লামা সাঈদী ন্যায়বিচার পাবেন। কিন্তু তিনি সেখান থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। 

 নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একই সাথে জাতি আদালতকে ন্যায়বিচারের প্রতীক ও স্থান হিসেবে দেখতে চায়। কিন্তু আল্লামা সাঈদীর উপর যে অবিচার করা হয়েছে তাতে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। যা একটি দেশের জন্য অনাকাক্সিক্ষত বিষয়। নেতৃদ্বয় আশা প্রকাশ করেন, আল্লামা সাঈদীর প্রতি ন্যায়বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশাবাসীর আস্থা বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ