শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

খুলনায় গোশতের বাজারে আগুন

খুলনা অফিস: তদারকির অভাব এবং সংকট দেখিয়ে বাজারে সব ধরনের গোসতের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত এক মাসের ব্যবধানে গরুর গোশতের কেজি প্রতি একশ’ টাকা, ছাগলের গোশ ৭০ টাকা ও মুরগীর গোশ ২০ টাকা হারে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং সংকটের কারণেই এ দাম বৃদ্ধি।
নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংসের দর কেজিপ্রতি প্রায় একশ’ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার খুলনা ময়লাপোতা মোড় এলাকার মিট মার্কেটে গরুর গোশতের বিক্রি হয়েছে ৪৮০ টাকা দরে।
দেড় মাস আগেও গরুর গোশ বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৪শ’ টাকা দরে। নগরীর রূপসা বাজারেও গরুর গোশের দাম ছিল ৪৮০ টাকা। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে এ দাম বৃদ্ধি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রূপসা বাজারের গরুর গোশ বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে গরু আমদানী নেই বললেই চলে। গরু কম আসায় দাম বেড়েছে।
ময়লাপোতা বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে ভারত থেকে চোরাপথে গরু আসত অনেক বেশী। তখন দামও ছিল কম। এখন আর চোরাই পথে গরু আসে না। আমাদের দেশের গরু দিয়েই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। ফলে দাম পড়ছে বেশী।
একই হারে বেড়েছে ছাগলের গোশের দাম। কয়েকদিন যাবৎ ছাগলের গোশ বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকা কেজি দরে। একমাস আগেও ছাগলের গোশের দাম ছিল ৪৮০ থেকে ৫শ’ টাকা।
সন্ধ্যা বাজারের গোশ বিক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, গরুর গোশের দাম বেড়ে এখন ছাগলের গোশের সমান প্রায়। ফলে চাহিদা বেড়ে গেছে। যে কারণে দাম বেড়েছে ছাগলের গোশও।
ব্রয়লার মুরগি সন্ধ্যা কাঁচাবাজারে ১৪০ টাকা এবং রূপসা বাজারে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে, যা মাস খানেক আগেও কেজিপ্রতি ছিল ১১৫-১২০ টাকা ছিল। অন্যদিকে কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে। আর দেশী মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৪’শ টাকা কেজি দরে। তবে এখানেও ঠকছেন ক্রেতারা। তাদের দাবি, দেশি মুরগি ও পাকিস্তানি বলে পরিচিত ফার্মের মুরগির দাম ক্রেতা ভেদে ভিন্ন। বিক্রেতারা যার কাছ থেকে যা আদায় করতে পারেন, তা-ই আদায় করছেন।
নগরীর ময়লাপোঁতা মোড়ে গোশ কিনতে আসা মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, মাংস কেনা দায়। গরু ও খাসির গোস্ত আগুন। দেশী মুরগী ও ব্রয়লারের দামও বেড়েছে। সরকারের কোন নজরদারি নেই এ বিষয়ে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ