বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চৌগাছায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কর্মসৃজনের টাকা হজমের অভিযোগ

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের চৌগাছার সিংহঝুলী  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহীম খলিল বাদলের বিরুদ্ধে কর্মসৃজনের টাকা হজমের অভিযোগ করলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। শনিবার  চৌগাছা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ  অভিযোগ  করেন সিংহঝুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুর রহমান টিয়ে। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের  সাধারণ  সম্পাদক  হাফিজুর  রহমান  নিপুসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।  তারা এক লিখিত অভিযোগে বলেন সরকারের পল্লী উন্নয়ন কর্মসৃজন প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নে ১শ ৩৪ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে নয়টি ওয়ার্ডে  মাত্র কয়েকজন  শ্রমিক  নামমাত্র কাজ করছেন। হিসাব মতে ১নং ওয়ার্ডে ১৪  জন, ২নং ওয়ার্ডে ১৪ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ১৫জন , ৪নং ওয়ার্ডে ১৬ জন, ৫ নং ওয়ার্ডে ১৪ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ১৭ জন, ৭নং ওয়ার্ডে ১৪ জন, ৮নং ওয়ার্ডে ১৫ জন এবং ৯ নং ওয়ার্ডে ১৫ জন  শ্রমিক কাজ করার কথা। সেখানে কোন ওয়ার্ডে ৩ থেকে ৪ জনের বেশি শ্রমিক কাজ করছে না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান  ইব্রাহীম  খলিল বাদল  সংশ্লিষ্ট  ইউনিয়নের  ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ সালাউদ্দিনের  সাথে আঁতাত করে  ১শ ৩৪ জন শ্রমিকের টাকা উত্তোলন করে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে  সংশ্লিষ্ট  ট্যাগ অফিসারের সাথে আমরা কথা বললেও তিনি বিষয়টি  কানে নেননি।  উল্টো তিনি আমাদের বলেছেন আপনারাই তো সব। তিনি একদিনের জন্যও ইউনিয়নের কাজ হচ্ছে এমন কোন স্থানে যাননি।
এ ছাড়াও চেয়ারম্যান বাদল  টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি প্রকল্পে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন। এসব বিষয়ে ট্যাগ অফিসার কোন ভূমিকা রাখেন না। এছাড়াও  চেয়ারম্যান বাদল ভিজিডি, ভিজিএফসহ সকল প্রকার  সরকারী সহযোগীতা ভাতা দেয়ার বিপরীতে  সুবিধা ভোগী গরীবদের নিকট  থেকে ৫শ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন ইউনিয়নে একদিনও না যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন আমার মা’য়ের অসুস্থতার কারনে আমি ইউনিয়নে যেতে পারিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ