বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মসুলে নারী ও বয়সী লোকদের দেহাবশেষের নতুন গণকবরের সন্ধান লাভ

১ জুন, পার্সটুডে, আলজাজিরা : ইরাকের মসুলে নতুন একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় মসুলের এ গণকবরে রয়েছে তাকফিরি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দায়েশের হাতে নিহত অনেক বেসামরিক নারী এবং বয়সী ব্যক্তির দেহাবশেষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র ইরাকের আস-সুমারিয়া নিউজকে বলেছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় মসুলের আশ-শাফিয়া এলাকায় এ গণকবরের সন্ধান পেয়েছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, এতে এ পর্যন্ত ২৩ জন নারী এবং বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিসহ অন্তত ৬০ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। দেহাবশেষের সঙ্গে পাওয়া পরিচয় পত্র থেকে জানা যায় যে নিহত নারীরা কর্মী এবং আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 দেহাবশেষ থেকে বোঝা যায় যে হতভাগ্য ব্যক্তিদের মাথায় গুলী করে হত্যা করেছে দায়েশ। শনাক্ত করা এবং স্বজনদের কাছে তুলে দেয়ার জন্য দেহাবশেষগুলো ওয়াদি হাজার ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে নেয়া হয়েছে।

দায়েশ দখলীকৃত এ এলাকা মুক্ত করার পর থেকে অনেক গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইরাকি বাহিনী ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে মসুল মুক্ত করার লক্ষ্যে বিশাল অভিযান শুরু করেছে এতে দায়েশগোষ্ঠী কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।

গ্র্যান্ড নুরি মসজিদে যুদ্ধের প্রস্তুতি আইএস

ইরাকের মসুলের গ্র্যান্ড নুরি মসজিদের চারপাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে আইএস। স্থানীয়রা জানান, মসুলে দখল ধরে রাখতে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪৮ ঘণ্টায় অনেক আইএস জঙ্গি এই মসজিদের চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন। এখানে ২০১৪ সালে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি খিলাফত ঘোষণা করেছিলেন। সেবছর থেকে এখনও মসজিদে আইএসের কালো পতাকা উড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি সরকারের পরামর্শক হিশাম আল হাশি বলেন, আইএস সদস্যরা জানে যে মসজিদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। এজন্য এখানেই যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। এই শহর হারালে স্বঘোষিত খিলাফতের অর্ধেকই হারিয়ে বসবে তারা।

মসুলে এখনও ২ লাখ বেসামরিক বসবাস করে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার বা বিশুদ্ধা পানি নেই। মসুলের গ্র্যান্ড নুরি মসজিদ সবসময় ইরাকি বাহিনী লক্ষ্য ছিল। রমজানেই এটি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু মসজিদের কাছে লড়াইয়ে মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা করা হচ্ছে।

মসুলে আটমাস ধরে যুদ্ধ চলছে। আইএস সদস্যরা বেসামরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় এই যুদ্ধ কঠিন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করে ইরাকি বাহিনী। বিগত কয়েকদিনে অনেক পরিবারকে জানজিল জেলায় যেতে বাধ্য করেছে আইএস। তাদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। সরকারি বাহিনী আকাশ থেকে লিফলেট ফেলছে যেন পরিবারগুলো পালিয়ে যায়। কিন্তু আইএসের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

অন্যদিকে সিরিয়ায় মার্কিন জোটের বিামান হামলায় রাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছে আইএস।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ