শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

যেসব পণ্যের দাম কমবে

 

সংসদ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু পণ্যে শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক কমানো বা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বেশকিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাবনা দেন।

এসব প্রস্তাব অনুমোদন পেলে যেসব পণ্যের দাম কমবে তা হলো : 

দেশীয় মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাড : আইসিটি খাত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান হিসেবে শুল্ক-কর প্রণোদনা এবং নীতিসহায়তা প্রদানের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাডের স্থানীয় সংযোজন ও উৎপাদনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ খাতের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হবে।

দেশীয় মোটরসাইকেল ও হাইব্রিড গাড়ি : মোটরসাইকেলের স্থানীয় উৎপাদন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ খাতের জন্য শর্তসাপেক্ষে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করে বিগত অর্থবছরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। মোটরসাইকেল শিল্পে অগ্রসরমান দেশসমূহে অনুসৃত পদ্ধতি পর্যালোচনা করে ওই প্রজ্ঞাপনটিকে আরো যুগোপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব করে নতুনভাবে জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে অতি দ্রুত মোটরসাইকেলের স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করি। একই সঙ্গে হাইব্রিড যানবাহন বৃদ্ধি করতে শুল্কহার পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে।

দেশীয় ব্যাটারি : দেশে উৎপাদিত ব্যাটারি দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানিও হচ্ছে। ইতিমধ্যে তৈরি পণ্যের আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক এবং কাঁচামালে নিম্ন শুল্কহার রয়েছে। আগামী বাজেটে এই সেক্টরের কাঁচামাল জিংক ক্যালট, আর্সেনিক, এন্টিমনির শুল্কহার হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।

কৃষি যন্ত্রপাতি : কৃষিকাজে আধুনিক পদ্ধতি অর্থাৎ যান্ত্রিক পদ্ধতির ব্যবহার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কম খরচে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে বিদ্যমান ১ শতাংশ আমদানি শুল্কের আওতায় আরো কিছু কৃষি উপকরণ যোগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে কৃষি যন্ত্রপাতির মূল্য কমতে পারে।

সিরামিক : বর্তমানে দেশে সিরামিক শিল্পের ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। বাজেটে এই শিল্পের প্রতিরক্ষণ সুবিধা অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ট্যাল্ক, মাইকা, অ্যালুমিনা লাইনার ইত্যাদি কাঁচামালের শুল্ক আরো হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধসহ অন্যান্য ঔষধ : বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের ঔষধ রফতানি হচ্ছে। প্রচুর সম্ভাবনাময় এই খাতকে আরো বিকাশিত করার জন্য এই শিল্পে ব্যবহৃত বেশ কিছু কাঁচামালে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধক ঔষধের কাঁচামালও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কৃষি, মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে পণ্য : কৃষিখাতের আরো উন্নতিতে বিভিন্ন ধরনের চারাগাছের পরিচর্যায় ব্যবহৃত মালচ (গঁষপয) এবং গ্রিন হাউস প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত শেডিং নেটের ওপর শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে কৃষিপণ্যের বেশকিছু পণ্যের দাম কমতে পারে। একই সঙ্গে কৃষির অন্যতম উপখাত মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের খাদ্যসামগ্রী ও নানাবিধ উপকরণ আমদানিতে প্রয়োজনীয় আরো কতিপয় পণ্যে শুল্ক সুবিধা তথা প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

চামড়াজাত শিল্প যন্ত্রপাতি : চামড়া দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি শিল্প এবং এক্ষেত্রে কাঁচামালের সিংহভাগ দেশেই উৎপন্ন হয়। এই খাতে ব্যবহৃত সব রাসায়নিক পণ্যকে অনেক আগে থেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। রফতানি বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্পের প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিদেশি ক্রেতাদের বিভিন্ন শর্ত অনুযায়ী নিরাপদ কারখানা স্থাপন করতে হচ্ছে। সে কারণে এই শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় Busbar trunking system এবং Electrical Panel  কে মূলধনী যন্ত্রপাতির রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ