মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সুন্দরবনের ‘বড় ভাই’ বাহিনীর প্রধানসহ পাঁচ বনদস্যু গ্রেফতার

খুলনা অফিস : সুন্দরবনের বনদস্যু ‘বড় ভাই’ বাহিনীর প্রধান মোশারফসহ পাঁচ বনদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদী সংলগ্ন জোংড়ার খাল থেকে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি অস্ত্রসহ গুলী উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোশারেফ কাজি (৩০), মো. সুমন হাওলাদার (২৩), মো. এনামুল শেখ (২৫), মো. ইয়াছিন মল্লিক (৩২) এবং মো. সামাদ মোল্লা (৩০)। তাদের বাড়ি মংলা উপজেলার জয়মনি এবং রামপাল উপজেলায়। 

র‌্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক মেজর আদনান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের মংলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি একনালা বন্দুক, একটি দোনালা বন্দুক, একটি ২২ রাইফেল, একটি কাটা রাইফেল ও একটি ওয়ান শুটার গানসহ ১৯০ রাউন্ড গুলী উদ্ধার করা হয়। সুন্দরবনে এ পর্যন্ত ১২টি দস্যু বাহিনী র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এ সুযোগে নতুন নতুন অনেক বাহিনী আধিপত্য বিস্তারের জন্য সুন্দরবনে নামতে চাচ্ছে। আর সে কারণেই এই অভিযান। সুন্দরবনের দস্যুদের শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসতে র‌্যাব কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান

তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রত্যাহারের দাবি : বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী দক্ষিণ বঙ্গের অবিসংবাদিত নেতা গুরুতর শারীরিক জটিলতায় অসুস্থ তরিকুল ইসলামসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে যশোর জেলা পুলিশ কর্তৃক একটি সাজানো মিথ্যা মামলায় চার্জশিট প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। 

গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, বৃহত্তর খুলনার কিংবদন্তীতূল্য নেতা তরিকুল ইসলাম সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন্য ব্যক্তিত্ব। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পটপরিক্রমায় নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এসে তিনি এক অনির্বাচিত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরম শিকারে পরিণত হয়েছেন। দীর্ঘ ১০ বছর গণতন্ত্রবিহীন বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে যখন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্ততি গ্রহণ করছে বিএনপি, সেই সময় এ ধরনের বানোয়াট, কল্পিত ও সাজানো মামলায় চার্জশিট প্রদান করে সরকার পরিস্থিতিকে আবারো ঘোলাটে করে মূলত বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত করছে। বিবৃতিতে কথিত এই মামলার পুন:তদন্ত এবং মিথ্যা অভিযোগ থেকে বিএনপির নেতাদের অব্যহতি দেয়ার দাবি জানান। 

বিবৃতিদাতারা হলেন, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, মশিউর রহমান, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও কবীর মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ