মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চৌগাছ্য়া চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার এক দিনের মাথায় চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ফাঁস

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের  চৌগাছায়  সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান  বাদলের চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার  মাত্র এক  দিনের  ব্যবধানে তার  দুর্নীতির  তথ্য  বেরিয়ে এসেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানাযায় কর্মসৃজন প্রকল্পের ২য় কিস্তির কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান  ইব্রাহিম খলির বাদলের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে টাকা হজমসহ ব্যাপক  দুর্নীতির অভিযোগ। এ মর্মে ২৭ মে সিংহঝুলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুর রহমান টিয়ে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান পিনুর নেতৃত্¦ে আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা চৌগাছা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এর পরদিনই ২৮ মে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে ইউনিয়নে গিয়ে দেখেন সেখানে ১শ ৩৪ জন শ্রমিকের বিপরীতে ৮৯ জন শ্রমিক কাজ করছেন। অনুপস্থিত রয়েছে ৪৫ জন শ্রমিক। ওইদিনই উপজেলা পিআইও অফিস থেকে চেয়ারম্যান বাদলকে বিষয়টি জানিয়ে একটি নোটিশ দেওয়া হয়। পরদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সে খবরটি প্রকাশ পেলে বাদল বেসামাল হয়ে পড়ে। তিনি সোমবার পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন উপজেলা পিআইও অফিস বিষয়টি তদন্ত করে কোন সত্যতা পায়নি। তার এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা প্রমাণিত হয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তদন্ত প্রতিবেদন সম্বলিত চিঠিতে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল বাদল বলেন পিআইও অফিস অডিট করে শতভাগ শ্রমিক পেয়েছেন। তবে ২৮ মে ৪৫ জন শ্রমিক অনুপস্থিতির ব্যাপারে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। তিনি আরো বলেন সাংবাদিকরা কোথায় শ্রমিক কম পাচ্ছেন আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, ওই ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পে মোট ১শ ৩৪ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও  ২৮ মে আমরা ৪৫ জনকে অনুপস্থিত পেয়েছি এবং এ হিসেবেই বিল দেওয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ