বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতে চীনের বিনিয়োগের আগ্রহ
চট্টগ্রাম অফিস : চায়না সিচুয়ান কমার্স ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল ঝ্যাং ইংয়ের নেতৃত্বে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সাথে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষ করে বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৭ জুন দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সিচুয়ান প্রদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং, পাওয়ার, কনস্ট্রাকশন, কেমিক্যাল, মোটর সাইকেল, জেনারেটর, হাইড্রো পাওয়ার জেনারেশন এবং সোয়ারেজ ট্রীটমেন্ট প্ল্যান্ট ইত্যাদি সেক্টরের ব্যবসায়ীরা এ প্রতিনিধিদলের সদস্য। এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহ্বুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এম. এ. মোতালেব, মোঃ জহুরুল আলম, মাহ্বুবুল হক চৌধুরী (বাবর), হাবিব মহিউদ্দিন, এস. এম. শামসুদ্দিন, অঞ্জন শেখর দাশ ও খাতভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । মতবিনিময়কালে চেম্বার সভাপতি মাহ্বুবুল আলম বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রসংগ উল্লেখ করে এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তিনি উভয় দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এদেশ হতে ব্যাপক পরিমাণে রপ্তানিযোগ্য পণ্য সামগ্রী প্রবেশে চীন সরকারের আরো সহযোগিতা কামনা করেন। বাণিজ্য প্রতিনিধিদলকে চেম্বার সভাপতি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকার ঘোষিত সুযোগ সুবিধা অবহিতকরণপূর্বক চট্টগ্রামের মিরসরাই ও আনোয়ারায় চায়নিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন সরকার ও বিভিন্ন চীনা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পসমূহ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করাসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানান। চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজীকরণ ও বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের দাবি জানান। উল্লেখ্য, প্রতিনিধিদল সকালে মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। চায়না সিচুয়ান কমার্স ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল ঝ্যাং ইং বলেন-বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নসহ সম্ভাবনাময় খাতে চীনের বিনিয়োগের আগ্রহ আছে। তাই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিনিয়োগ সম্পর্কে বিশদভাবে অবহিত হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করছেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্ভাবনা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজে লাগানোর মাধ্যমে উভয় দেশ লাভবান হবে বলে মনে করেন এবং এক্ষেত্রে নিয়মিত বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে উভয়দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। চীনের অন্যতম টেক্সটাইল ও ম্যানুফ্যাকচারিং হাব ৪৮৬ হাজার বর্গ কি.মি. ও ৯ কোটি জনগোষ্ঠীর সিচুয়ান প্রদেশ সফরের জন্য চেম্বার নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের আমন্ত্রণ জানান ঝ্যাং ইং।
চট্টগ্রামে মোবাইল কোর্ট
চট্টগ্রামে মোবাইল কোট বিভিন্ন অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে। গতকাল বুধবার হালিশহরে এক সপ্তাহের পুরনো তেল ব্যবহার এবং অসাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার সামগ্রী তৈরির জন্য 'মুখরুচি' নামক রেস্তোরাঁকে ১৫০০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্টিলমিল বাজারে মূল্য তালিকা না রাখা এবং মূল্যতালিকা ও প্রকৃত বিক্রয় মূল্যের মধ্যে গরমিল থাকায় ৪টি মুদি দোকান কে ২৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী এ অভিযান পরিচালনা করেন। কর্ণফুলী মার্কেট, চৌমুহনী, আগ্রাবাদে পরিচালিত অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯. এর বিভিন্ন ধারায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৪,০০০ টাকা জরিমানা করেন। আহমেদ স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঘি বিক্রি করার জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাহাড়তলি বাজারে পরিচালিত অভিযানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম পুরো বাজার ঘুরে দেখেন এবং এ সময় তিনি চারটি দোকানকে পণ্য বিক্রিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ-২০০৯ ভংগের দায়ে মোট ১১,০০০ টাকা জরিমানা করেন। চট্টগ্রাম নগরীর ২ং গেইট এলাকার কর্ণফুলী কমপ্লেক্সে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ ভঙ্গ করে মাংস ও মাছ বিক্রি করায় দুইটি দোকানকে ৩,০০০ টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া তিনি মূল্য তালিকা না থাকায় কাঁচাবাজার ও মাছবাজারের দোকানগুলোকে সতর্ক করে দেন।