শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফ্লেমিঙ্গো এক পায়ে কেন দাঁড়ায়

নূরুল আনাম (মিঠু) : ফ্লেমিঙ্গো পাখির এক পায়ে দাঁড়ানোর রহস্য নিয়ে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। এবার এই কৌতূহলের একটি বৈজ্ঞানিক সমাধান পাওয়া গেছে। ফ্লেমিঙ্গোর বেশির ভাগকেই এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এটার নাম সিগনেচার পোজ। সম্প্রতি একদল মার্কিন বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছেন যে, এক পায়ে দাঁড়াতে আলাদাভাবে কোন সচল পেশীশক্তি খরচ করতে হয় না। ফলে তাদের পেশীশক্তি কম খরচ হয়। আগেকার বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, এক পায়ে দাঁড়ানোর সময় ফ্লেমিঙ্গোরা ক্রমান্বয়ে পা বদলায়। সম্ভবত সে কারণেই তারা মাংসল ফ্যাটিগ বা পেশীর দুর্বলতা ও শারীরিক ক্লান্তি দূর করার জন্য এরকম করে। কোন কোন বিজ্ঞানীর এই ধারণাও ছিল যে, তারা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্যই এক পায়ে দাঁড়ায়। জর্জিয়ার আটলান্টা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ইয়ংহুই এবং আটলান্টার এমেরি ইউনিভার্সিটির লেনা এইচ টিং ফ্লেমিঙ্গোর এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন। এই গবেষকদ্বয় তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন জীবিত ও মৃত দুই ধরনের ফ্লেমিঙ্গোর। গবেষণা চালাতে গিয়ে তারা বিস্মিত হয়ে দেখেছেন যে, একটি মৃত ফ্লেমিঙ্গোকেও বাইরের কোন সাহায্য ছাড়াই এক পায়ে দাঁড় করানো সম্ভব। এই গবেষণণাপত্রটি রয়াল সোসাইটির জার্নাল বায়োলজি লেটার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন আবিষ্কৃত এই পদ্ধতিরি নামকরণ করা হয়েছে ‘প্যাসিভ গ্রাভিটেশনাল মেকানিজম।’
বিশ্রামের সময় কেন এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে তার রহস্য উৎঘাটনে গবেষণা কম হয়নি। কেউ বলেছেন, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ফ্লেমিঙ্গোরা এক পায়ে দাঁড়ায়। আবার কোনো কোনো গবেষকের দাবি, পেশীর ক্লান্তি কাটানোর জন্যই ফ্লেমিঙ্গো পাখি এ পায়ে দাঁড়ায়। 
সম্প্রতি আমেরিকার আটলান্টার জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক ইয়ং-হুই চ্যাং ও আটলান্টার এমোরি ইউনিভার্সিটির লেনা এইচ টিং দাবি করেছেন, ফ্লেমিঙ্গো পাখিরা দু’পায়ের বদলে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকলে বেশি শক্তি সাশ্রয় করতে পারে। এ জন্যই তারা এক পায়ে দাঁড়ায়।  এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকলে ফ্লেমিঙ্গোদের আলাদাভাবে সক্রিয় কোনও পেশী-শক্তি খরচ করতে হয় না। খবর বিবিসি’র।
গবেষকরা জীবিত ও মৃত, দুই ধরনের ফ্লেমিঙ্গো নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, একটা মৃত ফ্লেমিঙ্গোকেও বাইরের কোনও সাহায্য ছাড়াই এক পায়ে খাড়া করে দাঁড় করানো সম্ভব।
রয়্যাল সোসাইটি জার্নাল বায়োলজি লেটার্সে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে তারা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘প্যাসিভ গ্র্যাভিটেশনাল স্টে মেকানিজম’।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ