পাহাড়ে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত ঘোষণা, ১৪৭ জনের লাশ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক: গত ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে পার্বত্য এলাকায় আবারো পাহাড় ধসের আশঙ্কার মধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস। পাহাড় ধসের ঘটনায় এনিয়ে রাঙামাটিতে ১১১ জনসহ মোট ১৪৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত পার্বত্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা সেনা সদস্যসহ ব্যাপক প্রাণহানীর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টিতে আবারো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে পার্বত্য এলাকা। যে কোনো সময় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
সড়ক যোগাযোগ চালু করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ করছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে রাস্তায় হেঁটে চলার উপযোগী করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি কোরের নেতৃত্বে গত দুইদিনে চট্টগ্রামের রানীর হাট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে ধসে পড়া ১৫টি স্থানে মাটি সরানো হয়েছে।
ধসের পর পাহাড়ে মানবিক বিপর্যয় চলছে। টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, পানি ও জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
শালবন এলাকায় প্রায় দেড়শ’ ফিট রাস্তাসহ পাহাড় ধসে পড়ায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ দ্রুত চালু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা।
লঘুচাপের প্রভাবে রোববার থেকে সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সোমবার থেকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-বান্দরবানে শুরু হয় পাহাড় ধস। এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাঙামাটি জেলা।-চ্যানেল আই