একজন বিচারপতির মহানুভবতা
বগুড়া অফিস : ছেলে-মেয়ে সব আছে। নাতি-নাতনীতে ভরে আছে সংসার। কিন্তু তবুও নিজের বাড়িতে ঠাঁই হয়নি জমিলা বেগমের। অবশেষে আশ্রয় নিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমে। জমিলার মতো অর্ধশতাধিক অসহায় মা-বাবার আশ্রয় হয়েছে বগুড়ার ঠেঙ্গামারায় টিএমএসএস মাসুদা প্রবীণ নিবাসে। ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগমের ঐকান্তিক ইচ্ছায় গড়ে ওঠা এই প্রবীণ নিবাসে মঙ্গল বিকেলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিল এপেক্স ক্লাব অব বগুড়া। বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) এপেক্সিয়ান মোঃ আব্দুল মান্নান তাঁর মরহুম পিতা-মাতার জন্য দোয়া কামনায় এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি উপস্থিত থেকে অসহায় মা-বাবাদের হাতে ঈদের নতুন পোষাক তুলে দেন। সন্তানদের অবহেলার শিকার মা-বাবারা ঈদের নতুন পোষাক পেয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। অনেকেই অঝোরে কেঁদেছেন। বৃদ্ধ মা-বাবার চোখে পানি দেখে অতিথিদের অনেকেই রুমালে চোখ মুছেছেন।
এপেক্স ক্লাব অব বগুড়ার সভাপতি এ্যাড. এপে. শারদী শবনম মিথুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এপে. মো. খোরশেদ-উল-আলম অরুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের জেলা-৭ এর গভর্নর এপে. মো. মাহমুদুল হক সাবু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, বগুড়া এর বিচারক (জেলা জজ) এপে. মো. আব্দুল মান্নান, এপেক্স বাংলাদেশের অতীত জাতীয় সভাপতি ও বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. এ এইচ এম মুশিহুর রহমান, টিএমএসএস এর প্রতিনিধি আলহাজ্ব মাওঃ আব্দুর রহমান (পীর)। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এপেক্স বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ এপে. মো. হাবিবুল্লাহ, বগুড়া বারের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এপে. মো. মোজাম্মেল হক, বগুড়া জজকোর্টের সাবেক জিপি এ্যাড. এপে. আল মাহমুদ, আইপিডিজি এপে. মো. সায়েদুল ইসলাম, পিডিজি এ্যাড. এপে. আমিরুল ইসলাম, পিডিজি এ্যাড. এপে. আব্দুল হামিদ শাহ, লাইফ মেম্বার এপে. আনোয়ারুল ইসলাম বাচ্চু, লাইফ মেম্বার এপে. আব্দুল মান্নান, লাইফ মেম্বার এপে. ইনামুল হক রঞ্জু, এপেক্স ক্লাব অব বগুড়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি এপে. মো. শফিকুল ইসলাম, জুনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. এপে. গোলাম মোস্তফা জিয়ন, ক্লাব সেক্রেটারী এপে. মো. আব্দুল ওয়াদুদ, এ্যাড. এপে. সুফিয়া বেগম কহিনুর, এপে. আহসান হাবিব সেলিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৬৭ জন প্রবীণ সদস্যদের মাঝে ইফতার, ডিনার ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।