বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সিরীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্লোরিন হামলার অভিযোগ

২ জুলাই, ইন্টারনেট : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পূর্ব দিকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইরত সেনাবাহিনী ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
শনিবার বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এই অভিযোগ করার পরপরই দ্রুততার সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করে একে ‘বানানো অভিযোগ’ বলে অভিহিত করেছে সিরীয় সেনাবাহিনী।
দামেস্কের পূর্বাঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত ফাইলাক আল রহমান গোষ্ঠী দাবি করেছে, পূর্বাঞ্চলীয় গৌতা অঞ্চলের আইন তারমায় চালানো ওই ক্লোরিন গ্যাস হামলায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছে।
আইন তারমা এলাকাটি পুনরুদ্ধারের জন্য এলাকাটিতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সিরীয় সেনাবাহিনী।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক বিবৃতিতে দেশটির সামরিক বাহিনীর সূত্র বলেছে, সেনাবাহিনীর কমান্ড অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আগেও তারা (সেনাবাহিনী) কোনো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেনি, কখনো করবেও না।”
সিরিয়ার সরকার নতুন করে গ্যাস আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিযোগ করার কয়েকদিনের মধ্যে ফাইলাক আল রহমানের এই অভিযোগ এল।
এপ্রিলে সরকারি বাহিনী সিরিয়ার খান শেইখৌন এলাকায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিষাক্ত সারিন গ্যাস ব্যবহার করেছে আর তাতে বহু লোক শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের সরকারগুলোর।
 যে বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করে সিরিয়িার সরকারি বাহিনী ওই হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করে পশ্চিমারা, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তা প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার প্রথম থেকেই বিরোধীদের ওপর সারিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।
শনিবার এই সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল কেমিকেল উইপনস ওয়াচডগের একটি প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছে সিরীয় সরকার; বলেছে, প্রতিবেদনটিতে ‘বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি’ আছে।
২০১৪ ও ২০১৫ সালে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তিন দফা ক্লোরিন গ্যাস হামলা চালিয়েছিল বলে জাতিসংঘ এবং অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিকেল উইপনস (ওপিসিডব্লিউ)-র এক যৌথ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল; একই সময়ে তারা সিরিয়ায় বিষাক্ত মাস্টার্ডগ্যাস ব্যবহারের জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে অভিযুক্ত করেছিল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ