শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কুষ্টিয়ায় অসুস্থ গরুর গোশত খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ৭

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গোবরগাড়া গ্রামে নারী, শিশুসহ ৭ জন অ্যানথ্রাক্স রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন উপজেলার গোবরগাড়া গ্রামের নাহারুল ইসলামের একটি অসুস্থ গরু জবাই করে গ্রামের মানুষের মধ্যে গোশত বিক্রি করা হয়। এর চার দিন পর ওই গরুর গোশত কাটা ও রান্নার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের প্রথমে জ্বর ও পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা দেয়। এদের কারও হাতের আঙুলে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোসকা দেখা দেয়। ৮ জুলাই শনিবার দুজন রোগী দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন। পর দিন ৯ জুলাই রোববার আরও পাঁচজন একই হাসপাতালে যায়।

আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন মাহাবুল ইসলাম, স্মৃতি খাতুন, আশিক আহমেদ, এনামুল হক, রাফিউল ইসলাম, হারেজ আলী ও রিজভী আহমেদ।

 দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অরবিন্দ পাল বলেন, শনাক্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত নজর রাখছেন। আক্রান্ত রোগীরা আশঙ্কামুক্ত। এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।

জবাই করা ওই গরুর মালিক নাহারুল ইসলাম জানান, তার পোষা গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন গরুটি জবাই করে গোশত বিক্রি করে দেয়। এর চার দিন পর গ্রামে অনেকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘা দেখা দেয়।

গরু জবাইকারী এনামুল হক জানান, তাঁর হাতে ও কপালে ঘা হয়েছে। এ জন্য তিনি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, এলাকায় কোনো অসুস্থ গরু জবাই না করার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গ্রামের গবাদিপশুগুলোকে প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে করে এ রোগ অন্য কোনো পশুর শরীরে ছড়াতে না পারে।

 দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌফিকুর রহমান বলেন, গোবরগাড়া গ্রামে পশুসম্পদ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক নজর রাখতে বলা হয়েছে। অসুস্থ গুরু জবাইয়ের সঙ্গে যদি কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ