বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফুলপুরে কংশ নদীর ভাঙনে বাড়িঘর ফসলি জমি বিলীন

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : এলাকাবাসি জানান, কংশ নদীতে গত কয়েক বছরে চর পড়ে অনেক দূর সরে গিয়ে ফুলপুর ইউনিয়নের ঠাকুর বাখাই গ্রামে প্রবেশ করে ভাঙন অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এতে এ গ্রামের সরচাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় কিছু দিনের মধ্যে অর্ধশত লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। আরও ৩০ টি পরিবার হুমকিতে রয়েছেন। অসংখ্য মানুষ হয়েছেন জমি হারা।
বধ্যভূমির শহীদ মিনারটিও হুমকির মধ্যে রয়েছে। ঘর রক্ষার এ দাবী নিয়ে মঙ্গলবার বাখাই গ্রামের ৪০/৫০ জন নারী পুরুষ ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীর কাছে এসেছিলেন। তিনি তাদের কথা শুনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠাবেন বলে আশ^স্ত করেন। স্থানীয় সার ডিলার গোলাম মোর্তুজা লাল মিয়া তালুকদার জানান, এখানে ভাঙনে ভূমি ও গৃহহীন হয়ে অর্ধশত পরিবার বর্তমানে পাশের সরকারী জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। 
অপর দিকে ফুলপুর-হালুয়াঘাট সীমান্তবর্তী থেকে কংশ নদী সরে ভাঙনে ফুলপুর ইউনিয়নের বাশতলা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার ভিতরে প্রবেশ করেছে। এতে ঐতিহ্যবাহী ডেফুলিয়া বাজার বিলীন হয়ে গেছে। পাশের কংশ ও খড়িয়া নদীর সংযোগ স্থলের বাশতলা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ধ্বংসের পথে রয়েছে। শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে অন্যত্র সরে গেছেন। আরও শতাধিক পরিবার হুম্কিতে রয়েছেন।  অসংখ্য মানুষ হয়েছেন ভূমিহীন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান খোকা অভিযোগ করে বলেন, কোন প্রয়োজন ছাড়াই পানি উন্নয়ন বোর্ড পার্শ্ববর্তি খড়িয়া নদীর তলায় স্লুইসগেট করে প্রায় দেড় কোটি টাকা পানিতে ফেলেছে। অথচ বারবার দাবি জানালেও আমাদের কাজ হচ্ছেনা।
ফুলপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাঁধ নির্মাণ ও খনন করে নদীর গতিপথ পরিবর্তন না করলে সমস্যার সমাধান হবেনা। এজন্য সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ ও সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং সাহেবের ডিও লেটার নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রস্তাবনা পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ