আত্মসাতকৃত অর্থের মধ্যে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন অভিযুক্তরা
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করায় দুদকের মামলায় সরকারি কোষাগারে আত্মসাতকৃত ১৩ লাখ ৬১ হাজার ৯’শ ৩৩ টাকা ৭৪ পয়সা জমা দিয়েছেন অভিযুক্তরা।
জানা গেছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কাবিখা, কাবিটা, স্যোলার প্যানেল ও জেলা পরিষদ থেকে প্রকল্পের নামে বরাদ্দকৃত ২৩ লাখ ৫ হাজার ২’শ ৮৮ টাকা আত্মসাতের দায়ে রংপুর দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) এর উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার বাদী গত ২৯ জুন সুন্দরগঞ্জ থানায় ৬ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকার, গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউর রহমান, সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এ.কেএমএ হাবিব সরকার, ঠিকাদার মাহমুদ হোসেন, প্রকল্প চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুজা, আলমগীর হোসেন চৌধুরী, হরিপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল হক ও প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় স্যালোকের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা। মামলার দায়ের পর থেকে আসামীরা পলাতক থাকলেও গত ২ জুলাই প্রকল্প সভাপতি মঞ্জুরুল হক কাবিটা প্রকল্পের আত্মসাতকৃত ৯ লাখ ৩৯ হাজার ১’শ ২০ টাকা, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুজা কাবিখা প্রকল্পের ১ লাখ ৯১ হাজার ৬’শ ৮১ টাকা ৪৩ পয়সা এবং আলমগীর হোসেন চৌধুরী কাবিখা প্রকল্পের ২ লাখ ৩১ হাজার ১’শ ৩২ টাকা ৩১ পয়সা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এর উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মামলার দাযের পর কে টাকা জমা দিল না দিল সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। এ দিকে দুদকের মামলা দায়ের পর গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে কাবিখা, কাবিটা ও স্যোলার প্যানেল বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।