ছাত্রী সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয় ও আমাদের করণীয়
রোকসানা আক্তার মোহনা : আজকের শতাব্দীতে বিশ্ব মানবতা ভূলুন্ঠিত। পৃথিবীর সীমানা পেরিয়ে মহাশূন্যে কৃতিত্ব ও অহংকারের বিজয় নিশান উড়ালেও মানুষ খুঁজে পায়নি মুক্তির কাঙ্খিত পথ, উপলব্ধি করেনি শান্তির স্নিগ্ধ বাতাস। শক্তির অহমিকায় সাম্রাজ্যবাদী কালো থাবা প্রতিনিয়ত গ্রাস করছে মানব সভ্যতা। এই কড়াল থাবা থেকে বাদ পড়েনি ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশ।
অপার সৌন্দর্যে ঘেরা এই ছোট্ট দেশ। এ ভূখন্ডে রয়েছে সীমাহীন ঐশ্বর্য, অফুরন্ত সম্পদ, রয়েছে আল্লাহর দেয়া অসীম নেয়ামত। এক বুক স্বপ্ন নিয়ে অন্যায় - অত্যাচার, শোষণ, নিপীড়নের বেড়াজাল ছিন্ন করে সুন্দর, সুখী, সমৃদ্ধ একটি দেশ গঠনের বলিষ্ঠ প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে আবির্ভাব হয়েছিল দেশটির। কিন্তু স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে ব্রিটিশ কর্তৃক মুসলমানদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলামী চেতনায় বিবর্জিত করে গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ, বস্তুতান্ত্রিক শিক্ষা-ব্যবস্থার প্রবর্তন, অর্থনৈতিক প্রসার, বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসনের ফলে মুসলমানদের স্বকীয় ঐতিহ্য, ধর্মীয় মূল্যবোধ হারিয়ে যেতে থাকে। স্বাধীনতার পর তা আরো প্রকট আকার ধারন করতে থাকে। দিক ভ্রান্ত হতে থাকে দেশের কর্ণধারেরা, যার করাল গ্রাস থেকে বাদ পড়েনি দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছাত্রী অঙ্গন ও দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময়ী অংশ ছাত্রী অঙ্গন। অথচ আদর্শহীন বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা, মূল্যবোধহীনতা, অপসংস্কৃতিসহ নানামুখী ষড়যন্ত্রে ছাত্রী সমাজ আজ দিকভ্রান্ত এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ছাত্রী সমাজ নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও অশ্লীলতার স্রোতে দিশেহারা.....
মূল্যবোধ : মূল্যবোধের মূল ভিত্তি হল ধর্ম। দীর্ঘদিনের ধর্মীয় বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনা, আচার-আচরণ, আদর্শ, নিয়ম-নীতি, রীতি-নীতি ও প্রথা মেনে চলা এবং সব ধরনের অর্জিত মানবীয় গুনাবলি সম্পর্কে সমাজের মানুষের যে ধারনা সেগুলোই হল মূল্যবোধ। নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের জীবনের অনুসরণযোগ্য এমন কিছু আচরণ বিধি যা মানুষের জীবন ব্যবস্থাকে করে তোলে সুন্দর, নির্মল। মূল্যবোধের সাথে জড়িত রয়েছে সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সত্যবাদিতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, পারস্পরিক মমতাবোধ, উদারতা, সহযোগীতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি। সর্বোপরি সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হওয়ার বিশেষ কতকগুলো গুন। সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের চরিত্রকে করে তোলে মহান।
তাই মানুষের আত্বিক সামাজিক উৎকর্ষের জন্য এবং জাতীয় জীবন উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্যে সমাজে সামাজিক মূল্যবোধের চর্চা ও বিকাশের বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
মূল্যবোধের অবক্ষয় : অবক্ষয় বলতে কোন কিছু ক্ষয় হয়ে যাওয়া বা হ্রাস পাওয়াকে বোঝায়। মূল্যবোধের অবক্ষয় বলতে আমরা মানুষের অর্জিত গুন লোপ পাওয়াকে বুঝি। অর্থাৎ পৃৃথিবীর অগ্রযাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের প্রতি মানুষের মায়া মমতা, ভালোবাসা, সহযোগীতা, সহমর্মিতা, আন্তরিকতা, দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-নীতি বৃদ্ধির বিপরীতে তা ক্ষয় বা হ্রাস পাচ্ছে। এবং এক ধরনের তিক্ততা, হীনমন্যতা, ঈর্ষা, ক্রোধ, অহমিকা, গর্ব, স্বার্থপরতা, দাম্ভিকতা, অনাচার-অবিচার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদির মানসিকতা তৈরী হচ্ছে।
বিশ্ব সভ্যতা কিন্তু থেমে নেই। শিক্ষা-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য ও প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আধুনিক এই সভ্যতার দৌড়ে হারিয়ে যাচ্ছে প্রচলিত রীতি-নীতি, নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। ক্রমশই বেড়েই চলেছে সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয়।
ছাত্রী সমাজের অবক্ষয় : মানব জীবনে ছাত্রী সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য। সুতরাং এই গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রী সমাজের গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। প্রতিটি ছাত্রীকেই শৈশব-কৈশোর থেকেই যত্ন নেয়া এবং তাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা। কারন তারাই ভবিষ্যতের উত্তরসূরি। আজকের ছাত্রীরাই আগামীর কর্ণধার। এক নারীই পারে একটি সুন্দর, আদর্শ সমাজ গঠন করতে। আজকের ছাত্রীই আগামী দিনে মায়ের ভূমিকা পালন করবে। তাই একজন ছাত্রীকে আগামী দিনের আদর্শ মা হিসাবে গড়ে তোলার জন্য ছাত্রী সমাজকে সৎ, যোগ্য, নিষ্ঠাবান, চরিত্রবান ও সঠিক জ্ঞানের অধিকারী করে গড়ে তুলতে হবে।
কিন্তু আজ ....!!!
ছাত্রী সমাজের এসব গুনাবলি অর্জিত হচ্ছে না। যার কারনে দিনে দিনে ছাত্রী সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে।
ছাত্রী সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ-
পারিবারিক অসচেতনতা : পারিবারিক অসচেতনতার কারনে সন্তান বিপথগামী হয়। আজকের ছাত্রী সমাজের অবক্ষয়ের প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে পিতা-মাতার অসচেতনতা, পরিবারের দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি উদাসীনতা, পরিবারের দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতি উদাসীনতা। আজ-কাল পরিবারের মানুষগুলো এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, তারা তাদের সন্তানদের ঠিকমত সময় দিতে পারে না। সন্তান কি করে? কোথায় যায়, কার সাথে মিশে সে সব খোঁজ খবর নেয়ার সময় তাদের নেই। আবার কিছু পরিবার আছে যারা তাদের সন্তানের ইচ্ছাই স্বাধীনতার বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সন্তান যা বলবে তাই। সামাজিক ভারসাম্য আবার এখানে বজায় থাকে না।
কিন্তু একটা সন্তান তো তার পরিবার থেকেই সমস্ত আদব-কায়দা, আচার-আচরণ, ধর্মীয়-শিক্ষা, মূল্যবোধ এসব শিক্ষা গ্রহন করে থাকে। অর্থাৎ শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয় হল পরিবার। কিন্তু আজ পরিবার থেকে সন্তান এসব মৌলিক গুনাবলি অর্জন করতে পারছে না।
সুশিক্ষার অভাব : শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হল মূল্যবোধ অর্জন করা। কিন্তু আজ আমাদের সমাজে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও প্রকৃত শিক্ষা বা সুশিক্ষার অনুপাত দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। ছাত্রী সমাজের মূল্যবোধ হোক অথবা নৈতিক অধঃপতন হোক তার জন্য দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশে দায়ী। শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক চরিত্র গঠন, মূল্যবোধ, শিষ্টাচার, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ইত্যাদি শেখানো হয় না। যার কারণে মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে ছাত্রী সমাজে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা। এখানে সার্টিফিকেট অর্জন করাই মূল লক্ষ্য। বর্তমান শিক্ষার অর্থ হলো, যে কোন উপায় অবলম্বন করেই হোক পাস করতে হবে বা ভাল এচঅ পেতে হবে। পাস করা মানে হল ভাল সার্টিফিকেট অর্জন। একটি ভাল সার্টিফিকেট অর্জন মানে একটি ভাল চাকরী। আর একটি ভাল চাকরী মানে ভালো টাকা বা মোটা টাকা ইনকাম।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে, বর্তমান শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য এখন আর মূল্যবোধ সৃষ্টি নয় বরং মূল উদ্দেশ্য হল মোটা টাকা ইনকাম করা।
ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা : ছাত্রী সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের অন্যতম কারন হল ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থা। এই শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতি-নৈতিকতা, ঈমান আকীদা আমল ইত্যাদি বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থা। যদিও ধর্ম শিক্ষা নামে মাত্র দেয়া হয় তাও সঠিক নয়, ভ্রান্ত।
Stanly Hall say to,
“If you teach your children three Rs (Reading, writing, and Arithmetics) and leave the fourth “R” (Religion) you will get fifth R Rascale.
অর্থাৎ, যদি আপনি আপনার সন্তানকে তিনটি “জ” শিক্ষা দেন (পড়া, লেখা, অংক) এবং চতুর্থ “জ” টি (ধর্ম) বাদ দেন তাহলে আপনি পঞ্চম “জ” (শয়তান / বদমাশ)
সঙ্গদোষ : কথায় বলে, “সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।” ব্যক্তি জীবনে সঙ্গী-সাথীর গুরুত্ব অনেক। সঙ্গের কারণেই ব্যক্তির জীবনের নৈতিক মূল্যবোধের উন্নতি-অবনতির ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
অসৎ সঙ্গের কারণে শিশু ঐশির হাতে প্রাণ চলে গেল তার পিতা-মাতার। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই ঐশির মত ছেলে-মেয়েদের হাতে অকালে প্রাণ যায় জন্মদাতা পিতা-মাতার। সঙ্গদোষের কারণে নৈতিক মূল্যবোধের অধঃপতন হয়।
অপসংস্কৃতি : মূল্যবোধ অবক্ষয়ের অন্যতম মুখ্য হাতিয়ার হল অপসংস্কৃতির করাল আগ্রাসন। মানব সভ্যতার বিকাশ, উন্মেষ, প্রতিপালন ও প্রশিক্ষণের প্রকৃত কেন্দ্র বিন্দুই নারী। সমাজের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী বলেই এক্ষেত্রে নারীদের স্বতন্ত্র ভূমিকা অনস্বীকার্য। একজন শিক্ষিত ধর্মভীরু ও সংস্কৃতিবান ছাত্রী আগামী দিনে উপহার দিতে পারে সৎ ও নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক নাগরিক। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে পাশ্চাত্য সভ্যতার বল্গাহীন স্রোতে আজকের ছাত্রী সমাজ অনৈতিকতা ও আদর্র্শহীনতায় ভীষণভাবে হতাশাগ্রস্ত পাশ্চাত্য নারী স্বাধীনতা ও প্রগতিবাদ নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় এবং অপসংস্কৃতির বিষক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট শিক্ষাদানের প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, আগামী দিনের আশা-ভরসার তরুণ ছাত্রী সমাজ।
আমাদের করণীয় : জাতীয় ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের ক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী অবক্ষয়ের কবলে পড়ছে আমাদের এ ছাত্রী সমাজ। দেশীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ধারক - বাহক এমনি কিছু মধ্যবিত্ত শ্রেণী। তাদের চিরায়ত মূল্যবোধ ও সামাজিক রীতি-নীতির অবস্থান থেকে সরে এসে ভিন দেশি সংস্কৃতির প্রবাহে গা ভাসাচ্ছে। যার প্রভাবে শ্রদ্ধা ভালবাসার স্থান উঠে গিয়ে আধুনিকতার দোহাই দিয়ে ছাত্রী সমাজকে বেহায়াপনার শেষ সীমা অতিক্রম করে চলছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে আমাদের ছাত্রী সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের যে সর্বগ্রাসী অবক্ষয় চলছে তা রোধকল্পে কর্মসূচী গ্রহন করা এখন সময়ের দাবী-
তাই আমাদের করণীয়-
* ধর্মীয় শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
* ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা করা।
* প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যসূচিতে ছাত্রীদের মূল্যবোধ সম্পর্র্কিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্তকরণ।
* সহশিক্ষা বর্জিত শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
* অভিভাবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সন্তানদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা।
* পাশ্চাত্যকে অনুসরণ না করে ইসলাম অনুযায়ী তাকওয়াপূর্ণ শালীন পোশাক-আশাকে অভ্যস্ত করা।
* দেশের শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিকে অনাচার ও নৈরাজ্য মুক্ত করতে হবে।
* তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমগুলো বন্ধ করতে হবে।
* অপসংস্কৃতির মূলোৎপাটন করে এবং সেই স্থলে ইসলামী সংস্কৃতি চর্চায় অভ্যস্থ করতে হবে।
* মূল্যবোধের সঠিক মূল্যায়ন করা।
ছাত্রী সমাজই আমাদের আগামী আদর্শ সমাজ গঠনের উত্তরাসূরী। এই ছাত্রী সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয় থামাতে প্রয়োজন নৈতিক ও মূল্যবোধের চর্চা। যার মধ্যে নৈতিক শিক্ষা যত বেশি থাকে তার মধ্যে মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তত বেশি থাকে। আর যার মধ্যে নৈতিক শিক্ষা নেই সে মূল্যবোধের মর্ম বোঝে না। তাই এই অবক্ষয় রুখতে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের চর্চা।
যদি তা না করা সম্ভব হয় তাহলে আমাদের এই ঐতিহ্য কৃষ্টি কালচার সংস্কৃতি অচিরেই হারিয়ে যাবে। একটি সমাজের নীতি-নৈতিকতা, ধর্ম, দর্শন ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ থাকে সেই সমাজের সামাজিক সাংস্কৃতিক গতি - প্রকৃতি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির উন্নয়নের উপর। যে সমাজ যত বেশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং নিজস্ব মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সে সমাজ তত বেশি সুসংহত ও উন্নত। নৈতিক মূল্যবোধ মানুষকে ন্যায় ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে।