বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পাল্টে যাচ্ছে উপজেলার মানচিত্র আতংকে এলাকার মানুষ

মাগুরা থেকে ওয়ালিয়র রহমান : মধুমতি নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে মাগুরার মহম্মাদপুর উপজেলায় মধুমতি নদীতে  ভাঙ্গনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রচন্ড স্রোতের কারণে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মাগুরা জেলার মহম্মাদপুর উপজেলার কাশীপুর, রুইজানি, রায়পুর ও ভোলানাথপুর গ্রাম  নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ২৫টি বাড়ির অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ পর্যন্ত উক্ত ৪ গ্রামের ৮ কিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হওয়ায় পাল্টে যাচ্ছে মহম্মাদপুর উপজেলার মানচিত্র। নতুন করে  ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি, ফসলী জমি। নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে  বিরাজ করছে আতংক। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা কাশিপুর গ্রামের বসিন্দা  তিলাম হোসেন বলেন, নদী ভাঙ্গনের ফলে তারা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। এ ভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নদী ভাঙ্গনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধ, কাশিপুর মসজিদ, কবরস্থান বিলীন হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে। অপরদিকে উপজেলার গোপালগ্রাম থেকে পাল্লা শিরগ্রাম পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার বিশাল চর জেগে ওঠায় নদী স্রোত বাঁধাগ্রস্ত হয়ে প্রবল বেগে নদী তীরে আঘাত করায় ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় এনে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে কাশিপুর এলাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাকী কাজ শেষ করতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। প্রতি বছরই মহম্মাদপুর উপজেলার মধুমতি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আর ঘরবাড়ি ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়। এভাবে ভাঙ্গনের কারণে পাল্টে যাচ্ছে  মহম্মাদপুর উপজেলার মানচিত্র। আর এলাকার মানুষ গুলো ঘরবাড়ি, ফসল, আবাদী জমি হারিয়ে দরিদ্র থেকে আরো দারিদ্রতার মধ্যে পড়ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ