শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রাম সরকারি মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ১৩

চট্টগ্রাম অফিস : গতকাল শনিবার দুপুর দুইটার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মাদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী। আহতরা হলেন- আনোয়ার পলাশ, মাইমুন উদ্দিন মামুন, কাজী সিদ্দিকুর রহমান, নুরুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. বোরহান, মো. জিসান, মো. সিদ্দিক সোহান, হানিফ সুমন, নূর উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, আরমান আসিফ ও ইফতি। দুপুরে এই সংঘর্ষের সময় পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  এসময় কলেজের আশপাশের সড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। সংঘর্ষের সময় আতংক দেখা দেয়, ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কলেজের বিজ্ঞান ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন নেতাকর্মী স্লোগান দেয়। অপর পাশে মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী কয়েকজন ছাত্রলীগের নেত-কর্মীও স্লোগান দিতে থাকে। এনিয়ে উভয় গ্রুপের সাথে কথা কাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে উত্তেজিত দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের ১৩জন নেতাকর্মী আহত হয়। মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আহত মায়মুন উদ্দিন মামুন বলেন, গণি বেকারী এলাকায় যুবলীগ নামধারী কলেজের বহিরাগত সন্ত্রাসী আব্দুর রউফের ছেলেরা আমাদের ছেলেদের মারধর করার খবব পেয়ে দুপুরের দিকে আমরা সেখানে গেলে আমাদের উপর হামলা চালায় রউফের ছেলেরা। আমাদের ১০/১২ জনকে আহত করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছে, সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়রের গ্রুপের ছেলেরা মারামারি শুরু করেছিল। আমরা গিয়ে ধাওয়া দিই। এতেও নিবৃত্ত না হলে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।  মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে গেছে।’
স্থানীয়রা বলছে, ২০১৫ সালে পুলিশের ছত্রছায়ায় এই দুই কলেজ থেকে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের জোরপূর্বক বের করে দেয়ার পর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও মহসিন কলেজ  নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ছাত্রলীগ।  এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আধিপত্যের দ্বন্দ্বে এই কলেজগুলোতে বহুবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  গত এক মাসে মুখোমুখি ক্যাম্পাসের এই কলেজ দুটিতে কমপক্ষে পাঁচ দফা সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। ছাত্রছাত্রীরা সব সময় ছাত্রলীগ আতংকে থাকে। 
চকবাজার থানার ওসি নুরুল হুদা ভূঁইয়া জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। তবে কি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ