জমজমাট লড়াইয়ের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

নাজমুল ইসলাম জুয়েল : সবচেয়ে গতিময় লিগ হিসেবে বেশ কয়েকবছর ধরেই সুনাম রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের। পুরো ফুটবল দুনিয়ার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে এই লিগ। যদিও লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কিংবা নেইমাররা নেই। তারপরও ইউরোপের বাকি সব লীগের চেয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ একটা কারণে এগিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এখানে আগের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নকেও পরের মৌসুমে অবনমন এড়ানোর লড়াইয়ে নামতে হয়, পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর দলকে হারিয়ে দেওয়ার পরের ম্যাচেই উল্টো হারতে হয় বিশ নম্বর স্থানধারীর কাছে! যার নগদ নজির আছে সর্বশেষ মৌসুমে লিস্টার সিটি আর লিভারপুলের ম্যাচেই। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেই প্রিমিয়ার লীগের ২০১৭-১৮ মৌসুম শুরু হয়েছে ১১ আগষ্ট। ২০ দলের নয় মাসের ফুটবল লড়াইয়ে শুরুর দিনে মুখোমুখি সাবেক দুই শিরোপাধারী আর্সেনাল ও লিস্টার সিটি। মাঠের খেলার পাশাপাশি অর্থের ছড়াছড়িতেও প্রিমিয়ার লীগ আছে এক নম্বরে। গত মৌসুম থেকে অবনমিত হয়ে যাওয়া সান্দারল্যান্ড কেবল টিভি স্বত্ব থেকেই আয় করেছে ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড; যা বুন্দেসলীগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের প্রাইজমানির চেয়েও দ্বিগুণ! মূলত ব্যবসায়িক এই কাঁড়ি কাঁড়ি লাভের চিন্তা থেকেই ১৯৯২ সালে প্রথম বিভাগ ছাপিয়ে জন্ম হয়েছিল প্রিমিয়ার লীগের। ২৫ পেরিয়ে ২৬তম মৌসুম শুরু হওয়া প্রিমিয়ার লীগ এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অর্থের পাশাপাশি তারকা কোচদের লড়াইয়েরও লীগ। হোসে মরিনহো, অ্যান্তোনিও কন্তে, পেপ গার্দিওলা, আর্সেন ওয়েঙ্গার, ইয়ুর্গেন ক্লপ আর মাওরিসিও পচেত্তিনিরা আছে ডাগআউটে। তবে এসব ছাপিয়ে মূল আকর্ষণটা ওই মাঠের খেলাকে কেন্দ্র করেই। প্রতিবারই মৌসুম শুরুর আগে যা নিয়ে আলোচনা হয়, এবারও বড় প্রসঙ্গ সেটিই, কে হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন? এ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া ২৫ মৌসুমের ম্যানইউই সবার চেয়ে এগিয়ে। তাদের ১৩ শিরোপার বিপরীতে অর্ধেকও জিততে পারেনি কেউ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ শিরোপা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেলসির। এ ছাড়া আর্সেনাল ৩, ম্যানসিটি ২, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স আর লিস্টার সিটি একবার করে। রোভার্স তো এখন ইপিএলেই নেই; লিস্টারকেও গণনায় ধরা হচ্ছে না (যদিও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বছরও তাদের নিয়ে কেউ আশা করেনি)। বাকি চার শিরোপাজয়ীর সঙ্গে সম্ভাব্য হিসেবে ধরা হয় কখনও না জেতা লিভারপুল আর টটেনহামকে। এ ছাড়া ওয়েন রুনি আছেন বিধায় এভারটনের কথাও বলছেন কেউ কেউ। তবে এর পরও সম্ভাব্য শিরোপা জয়ীর তালিকা এই সাত-আট দলের মধ্যে সীমিত রাখা যাচ্ছে না। কারণটা ওই প্রতিদ্বন্দ্বিতা! ২০১৫-১৬র লিস্টার সিটিই যার বড় উদাহরণ। অবশ্য শিরোপাজয়ীর তুলনায় চ্যাম্পিয়ন্স লীগের দল নির্বাচন খানিকটা ঝুঁকিমুক্ত। শিরোপাধারী তো থাকছেই, সঙ্গে আরও তিনটি দল পরের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সরাসরি অংশগ্রহণের টিকিট পাবে। সেক্ষেত্রে লড়াইটা ওই চেলসি, ম্যানসিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, ম্যানইউ, টটেনহাম আর এভারটনের মধ্যেই হওয়ার কথা। এবারের মৌসুমে এভারটনের বেশ ভালো করার সুযোগ আছে। রোমেলু লুকাকুকে তারা ম্যানইউর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। বিনিময়ে পাওয়া ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড তারা ব্যবহার করেছে দারুণভাবে। লীগের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে বিবেচিত মাইকেল কিন, ডাচ তারকা ডেভি ক্লাসেনদের দলে ভিড়িয়েছে লিভারপুলের শহর প্রতিদ্বন্ধীরা; সঙ্গে ফিরে আসা রুনি তো আছেনই। প্রিমিয়ার লীগে শিরোপা লড়াইয়ের মতো জমজমাট থাকে অবনমন লড়াইও। পয়েন্ট টেবিলের ১৮, ১৯ ও ২০তম স্থান এড়াতে বড় দলগুলোকেও লড়তে হয়। সর্বশেষ দুই মৌসুমে যা চেলসি (মাঝ পর্যন্ত) এবং লিস্টারকে করতে হয়েছে। ২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে বাদ পড়েছে হাল সিটি, মিডলসব্রো ও সান্দারল্যান্ড। এবার যুক্ত হয়েছে নিউক্যাসল, ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন ও হাডার্সফিল্ড টাউন। নতুন উঠে আসা দলগুলোই অবনমনের খড়গেই বেশি থাকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য টিকেও যায় অনেকে। অপ্রত্যাশিতভাবে বাদ পড়ে ভিন্ন কেউ। প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যেমন জিতে যায় লিস্টারের মতো দল। এবারও কি তেমন কিছু ঘটবে? জানা যাবে ২০১৮র মের দ্বিতীয় সপ্তাহে। অপেক্ষা সে পর্যন্তই করতে হবে।
অবাক করা ২৫ তথ্য
ইংল্যান্ড ফুটবল লীগের ইতিহাস শুরু ১৮৮৮ সাল থেকে। তখন নাম ছিল ‘ফুটবল লীগ’। এই নামে লীগ চলে চার মৌসুম। ১৮৯২ সালে এসে নতুন নামে লীগ শুরু হয়। এবারের নাম- ‘প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ’। টানা ১০০ বছর এই নামে ইংল্যান্ডের ফুটবল লীগ চলে। এই নামের শেষ হয় ১৯৯২ সালে এসে। শত বছরের নাম ফেলে এবার নাম হয়, ‘ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ’। এখনো সেই নামে চলছে। ইউরোপিয়ান ফুটবলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে করা হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগকে। যার রজতজয়ন্তী বা ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে এ বছর ১৫ই আগস্ট। এমন মাইলফলক স্পর্শের আগে প্রিমিয়ার লীগের ২৫টি চমকপ্রদ তথ্য পাঠকদের জানানো হচ্ছে।
১. ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ২৫ বছরের ইতিহাসে দুই পায়ে পেনাল্টি গোল কপেরছেন মাত্র দুইজন খেলোয়াড়। তারা হলেন, ইংলিশ ফরোয়ার্ড ববি জামোরা ও নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওবাফেমি মার্টিনস।
২. ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি মিডফিল্ডার রায়ান গিগস প্রিমিয়ার লীগে সর্বোচ্চ ১৩৪ বার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছেন।
৩. ইতালির স্ট্রাইকার মারিও বালোতেলি ইংলিশ লীগে তিন মৌসুম খেলেছেন। তিন মৌসুমে তিনি মাত্র একটি অ্যাসিস্ট করেছেন। সেটা ছিল ২০১১-১২ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে শিরোপা নির্ধারণী শেষ ম্যাচে। তিনি সেই একমাত্র অ্যাসিস্টটি করেন সার্জিও আগুয়েরোকে। কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের (কিউপিআর) বিপক্ষের ওই গোলে শিরোপা নিশ্চিত করে ম্যানসিটি।
৪. ওয়েইন রুনি, গ্যারেথ বেল ও কেভিন ডেভিস- এই তিন খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লীগের একই ম্যাচে গোল, অ্যাসিস্ট ও আত্মঘাতী গোল করেছেন।
৫. ওপরের তিনজনের মধ্যে একমাত্র গ্যারেথ বেল গোল, অ্যাসিস্ট ও আত্মঘাতী গোলের সঙ্গে হলুদ কার্ডও দেখেন।
৬. প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকার পর একটি ম্যাচও হারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
৭. ব্ল্যাকবার্ন ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়েরার প্রিমিয়ার লীগে সবচেয়ে বেশি-১১ পেনাল্টি মিস করেছেন। অবশ্য প্রিমিয়ার লীগে পেনাল্টিতে সবচেয়ে বেশি- ৫৬ গোলও তার দখলে।
৮. ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমের পর ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট হ্যাম গোল ব্যবধানে নিজেদের গোল বেশি করে।
৯. ইংল্যান্ডের সাবেক গোলরক্ষক পল রবিনসন প্রিমিয়ার লীগে গোল, অ্যাসিস্ট ও পেনাল্টিতে গোল করেছেন। প্রিমিয়ার লীগে গোলরক্ষক হিসেবে গোলে সবচেয়ে বেশি- ৫ অ্যাসিস্ট তার।
১০. জেমস মিলনার প্রিমিয়ার লীগে ভিন্ন ৪৭টি দলের বিপক্ষে গোল করেছেন। অবাক করা কথা হলো, এর একটিতেও তার দল হারেনি।
১১. প্রিমিয়ার লীগ শুরু হওয়ার পর (আগস্ট, ১৯৯২) জন্ম নেয়া মাত্র তিন খেলোয়াড় ইংল্যান্ডের শীর্ষ এ লীগে হ্যাটট্রিক করেছেন। তা হলেন, রহিম স্টার্লিং, হ্যারি কেইন ও রোমেলু লুকাকু।
১২. ১৯৬০ সালের আগে জন্ম এমন মাত্র এক খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লীগে হ্যাটট্রিক করেছেন। তিনি হলেন, ইংল্যান্ডের গর্ডন স্ট্রাচান। ১৯৯৩ সালে লীডস ইউনাইটেডের হয়ে ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। তার জন্ম ১৯৫৭ সালে।
১৩. জর্জ বয়েড চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লীগে রেলিগেটেড হয়ে যাওয়া দুই দলে খেলেছেন। তারসঙ্গে সর্বশেষ এমনটি ঘটে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্নলির হয়ে। তার আগে এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন, মার্ক রবিনস (১৯৯৪-৯৫), স্টিভ কাব্বা (২০০৬-০৭) ও ডেভিড নাগেন্টের (২০০৯-১০) সঙ্গে।
১৪. প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে ২০১৪-১৫ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সময়- ১৪০ দিন পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল লেস্টার সিটি। তবে মৌসুমের শেষদিকে উন্নতি করায় কোনোরকমে রেলিগেশন এড়ায় তারা। অবাক করা কথা হলো, এই লেস্টার সিটি পরের মৌসুমে শিরোপা জিতে নেয়।
১৫. গোলরক্ষক ছাড়া মাত্র চারজন খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লীগের শিরোপাজয়ী দলের হয়ে ওই মৌসুমে প্রতিটি ম্যাচ খেলেন। তারা হলেন, সিজার আজপিলিকুয়েতা (২০১৬-১৭), ওয়েস মরগান (২০১৫-১৬), জন টেরি (২০১৪-১৫) ও গ্যারি প্যালিস্টার (১৯৯২-৯৩)।
১৬. লিভারপুল, টটেনহ্যাম ও স্টোক সিটির সাবেক স্ট্রাইকার পিটার ক্রাউচ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে হেডে সবচেয়ে বেশি- ৫০ গোল করেছেন। লীগে অংশ নেয়ার এমন ১৬টি দল রয়েছে যারা মোট মিলিয়ে ক্রাউচের সমান গোল করতে পারেনি।
১৭. রিচার্ড রাইড প্রিমিয়ার লীগে দুই ক্লাবের হয়ে মাত্র ১২ ম্যাচ খেলেছেন। ২০০১-০২ মৌসুমে আর্সেনালে খেলেন ১২ ম্যাচ। এরপর ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ম্যানচেস্টারসিটির খেলোয়াড় হলেও কোনো ম্যাচ খেলেননি। কিন্তু এই দুই ক্লাবেই তিনি প্রিমিয়ার লীগের শিরোপার স্বাদ নিয়েছেন।
১৮. ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলেছেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ইয়াগো আসপাস। তিনি এই কয় ম্যাচে মাঠের খেলায় যতগুলো শট নিয়েছেন তারচেয়ে বেশি কর্নার শট নিয়েছেন।
১৯. ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি গোল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ১,৮৫৬ গোল করেছে রেড ডেভিলরা। আর্সেনাল এ তালিকায় দ্বিতীয়। ইউনাইটেডের থেকে ১৫৮ গোল কম করেছে তারা।
২০. ইংলিশ মিডফিল্ডার অ্যান্ডি রবার্টস ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে ৩৭ ম্যাচ খেলেন। এরমধ্যে চার ম্যাচ ছিল আর্সেনালের বিপক্ষে। ক্রিস্টাল প্যালেসের হয়ে আর্সেনালের হয়ে দুই ম্যাচ খেলার পর উইম্বলডনে যোগ দেন তিনি। সেখানে আর্সেনালের বিপক্ষে আবার দুই লেগে খেলেন।
২১. টেরি কনর্স (উলভসের সাবেক কোচ) একমাত্র কোচ যিনি প্রিমিয়ার লীগে ১০ এর অধিক ম্যাচ কোচিং করিয়েও কোনো জয় পাননি।
২২. ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি হলুদ কার্ড দেখেছে চেলসির খেলোয়াড়েরা- ১,৫৩৬ বার। খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১৯ হলুদ কার্ড দেখেছেন গ্যারেথ ব্যারি। সবচেয়ে আটবার করে লালকার্ড দেখেছেন তিনজন- রিচার্ড ডান, ডানকান ফার্গুসন ও প্যাট্রিক ভিয়েরা। দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি- ৮০ লালকার্ড দেখেছে এভারটনের খেলোয়াড়রা।
২৩. প্রিমিয়ার লীগে হেডের মাধ্যমে হ্যাটট্রিক করেছেন মাত্র দুই খেলোয়াড়। তারা হলেন, ডানকান ফার্গুসন। ১৯৯৭ সালে বল্টনের বিপক্ষে এভারটনের হয়ে হেডে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। আর ২০১৬ সালে সোয়ানসির বিপক্ষে ওয়েস্ট ব্রমের হয়ে এই কীর্তি দেখান সালোমন রোনাল্ড।
২৪. জার্মানির মিডফিল্ডার নূরী সাহিন ২০১২-১৩ মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে খেলেন ৭ ম্যাচ। মজার কথা হলো, ওই সাত ম্যাচেই তিনি বদলি হিসেবে মাঠে নামেন।
২৫. ২০০১-০২ মৌসুমে হারের অবস্থানে থেকেও ৩৪ পয়েন্ট অর্জন করে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লীগের এক মৌসুমে প্রথেমে পিছিয়ে থেকে পরে অর্জন করা সর্বোচ্চ পয়েন্ট এটি। ওই ঘটনার সাত বছর পর রেলিগেটেড হয় নিউক্যাসল। কাকতালীয়ভাবে তখন তাদের মোট পয়েন্ট ছিল ৩৪।