শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফুঁসে উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা

স্টাফ রিপোর্টার : বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে গণধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনে প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির ডাকে ৩ দিনব্যাপী কালোব্যাজ কর্মসূচী পালন করছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
গতকাল সোমবার দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক প্রতিবাদস্বরূপ কালোব্যাজ পরেন এবং অনেকে মুখে কালো কাপড় বাঁধেন। আজ মঙ্গল এবং কালবুধবার একই কর্মসূচী পালন করবে প্রাথমিক শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষিকা গণধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ঐ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী ২৪শে আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং সারা দেশে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষকরা মানববন্ধন করবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি  মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ। মানববন্ধন শেষে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রেরণ করবেন শিক্ষকরা।
কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, প্রায়ই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের আসা যাওয়ার পথে অথবা বিদ্যালয়ে বখাটের দ্বারা শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন। এগুলোর সঠিক বিচার না হওয়ায় বেতাগীর এই শিক্ষিকা বর্বোরচিত গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় এখন  পর্যন্ত  ছয়জন আসামীর মধ্যে মাত্র একজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। ১নং আসামীসহ অন্য আসামীরা গ্রেফতার  না হওয়ায় নির্যাতিত শিক্ষিকা ও তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছে। শিক্ষক নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সকল আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। ২৩শে আগস্টের মধ্যে সকল আসামীকে আইনের আওতায় আনা না হলে শিক্ষকরা ক্লাস বর্জনসহ আরো কঠোর কর্মসূচী দিবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই আগস্ট বিদ্যালয় ছুটির পর স্বামী আসার জন্য অপেক্ষারত বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে বসে পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন। স্বামীর আসার পর ঐ শিক্ষিকা স্বামীর সাথে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় কতিপয় বখাটে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষিকার স্বামীকে মারধর করে স্বামীর সামনেই শিক্ষিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এই ধর্যনের ঘটনায় শিক্ষিকা ঐ দিন রাতে বেতাগী থানায় মাললা করেন। মামলার অভিযুক্ত ৬জন আসামী হলেন বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের হিরন বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস, আবুল বারেক মিয়ার ছেলে রাসেল, আব্দুল কুদ্দুস কাজীর ছেলে সুমন কাজী, সুলতান হোসেনের ছেলে রবিউল, আব্দুর রহমানের ছেলে হাসান ও আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে জুয়েল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ