শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ডুমুরিয়ায় স্লুইস গেটে পলি জমে কয়েকটি বিল পানিবন্দী: কৃষক দিশেহারা

খুলনা অফিস: খুলনার ডুমুরিয়ায় দোহাখোলা, বিল সালাতিয়া ও কেওড়াতলা স্লুইস গেটের সামনে ও পেছনে পলি জমে কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাশনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। 

ফলে হাজার-হাজার একর জমি পানিতে থৈ-থৈ করছে। ভেসে গেছে শত-শত মৎস্য ঘের। আযোগ্য হয়ে পড়েছে রোপা আমন চাষ। প্রতিকার পেতে দিশেহারা মৎস্য চাষি ও কৃষকেরা ছুটে বেড়াচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু তারপরও পাচ্ছে না কোন প্রতিকার। এখন কি করবে তারা এ ভাবনায় ঘুম নেই তাদের চোখে এমনটি জানিয়েছে ভুক্তভোগী কৃষকদের অনেকেই। 

সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগী চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার রুদাঘোরা, রঘুনাথপুর ও ধামালিয়া ইউনিয়নের বিল বরুনা, বিল মধুগ্রাম, বিল তাওয়ালিয়া, বিল দোহাখোলা, বিল সালাতিয়াসহ ছোট-খাট আরো ৫/৬টি বিল সম্প্রতি অতি বর্ষণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে শত-শত মৎস্য ঘের। অযোগ্য হয়ে পড়েছে আমন চাষাবাদ। মৎস্য চাষিদের অনেকেই বেড়িবাঁধের উপর নেট ও পাটা দিয়ে ঘের রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় সে গুড়েও বালি। আর রোপা আমন চাষতো বলাই বাহুল্য। 

কিন্তু কি কারণে এত গুলি বিল পানিবন্দী এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে কথা হয় ধামালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজওয়ান মোল্লার সাথে। তিনি জানান, সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে কখনো নদী কেটে, আবার কখনো নদী ভরাট করে, আবার নদীর চর দখল করে নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। যে কারণে নদী হারিয়ে ফেলেছে তার নাব্যতা। এখন নদীতে আর খর ¯্রােত নেই। যে কারণে উপজেলার দোহাখোলা বিল সালাতিয়া ও কেওড়াতলা স্লুইস গেটের সামনে ও পেছনে পলি ভরাটি হয়ে পড়েছে। ফলে স্লুইস গেট গুলি পানি নিষ্কাশনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাজারো মানুষ। 

বিনষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার মাছ ও ফসল। এ নিয়ে যেন কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। 

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর বলেন, গত ২২/২৩ দিন যাবত সরকারি উদ্যোগে ভাসমান স্কেভেটার ভলবো মেশিন দিয়ে কেওড়াতলা স্লুইচ গেটের খাল ৫০ ফুট চওড়া ও ২১শ’ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট খননের মধ্য দিয়ে পানি নিষ্কাশনের উপযোগী করে তোলা হয়েছে পলি। পর্যায় ক্রমে সকল গেটের পলি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, বিষয়টি মাথায় আছে, এটি সমাধানের জোর প্রচেষ্টা চলছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ