বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

হোম সিরিজে স্পিনারদের ওপরই ভরসা সাকিবের

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সিরিজে স্পিন নির্ভর উইকেট তৈরি করে ভালো ফল পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও তেমন উইকেট তৈরি করার সম্ভাবনা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই তাই ম্যাচ শুরুর আগে উঠে আসছে দুই দলের স্পিনারদের সামর্থ্যরে বিষয়টি। তবে দু’দলের মধ্যে বাংলাদেশের স্পিনারদেরকেই এগিয়ে রাখছেন সাকিব আল হাসান। গতকাল দুপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন সাকিব। সিরিজের আগে থেকেই আলোচনায় অজি অফস্পিনার নাথান লায়ন। বাংলাদেশের জন্য তাকেই বড় হুমকি মনে করা হচ্ছে। ইমরুল কায়েসের পর সংবাদ সম্মেলনে সুর মিলিয়ে লায়নকেই বড় হুমকি বললেন সতীর্থ তামিম ইকবালও। তবে সাকিব ওদের চেয়ে বাংলাদেশের স্পিনারদেরকেই এগিয়ে রাখছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘সব কন্ডিশনে বলবো না, তবে দেশের মাটিতে তাই আমাদের স্পিন অ্যাটাক ওদের থেকে ভালো। তাইজুল এবং মিরাজ দু'জনই বেশ অনেক দিন ধরেই ভালো বল করছে। আমার বিশ্বাস ম্যাচ জেতানোর জন্য এই দু’জন বড় ভূমিকা পালন করবে।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে জয়ের পর ওই রকম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও একই উইকেট তৈরি করার সম্ভাবনা বেশি। তবে উইকেটের উপর কারো হাত নেই উল্লেখ করে সাকিব আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডের মত উইকেট হলে ভালো হয়। তবে উইকেটের উপর তো আর কারো হাত নেই। কিউরেটর তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে আগের মতই উইকেট তৈরি করতে। তবে শুধু উইকেটের কথা ভেবে বসে থাকলেই হবে না, সাফল্য পেতে যা যা করনীয় আমাদের মাঠে তাই করতে হবে।’ ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট আঙিনায় পা রাখা সাকিব আল হাসানের। মাঝে পেরিয়ে গেছে ১০টি বছর। এই সময়ে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৪৯ টেস্ট। অথচ তার বছর চারেক পর টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করা বিরাট কোহলি এরই মধ্যে খেলে ফেলেছেন ৬০ টেস্ট! স্টিভেন স্মিথও এগিয়ে অনেকটা, ২০১০ সালে ক্রিকেটের লম্বা ফরম্যাট শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক খেলেছেন ৫৪ টেস্ট। তাদের চেয়ে অনেক আগে পাঁচ দিনের ক্রিকেট শুরু করে কেবল ম্যাচের হাফসেঞ্চুরির অপেক্ষায় সাকিব।

 মাইলফলকটা স্পর্শ করতে খুব  বেশি সময় লেগে গেলেও অবশ্য তাতে আক্ষেপ নেই বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডারের। এটা নিয়ে সাকিব বলেন,‘জীবনে খুব বেশি আফসোস নেই। ওদিক থেকে চিন্তা করলে যা হয়েছে, তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। বেশি খেলতে পারলে ভালো লাগতো। তবে খেলতে যেহেতু পারিনি, তাই আফসোসও নেই। যে ম্যাচগুলো খেলেছি, তাতে কতটা পারফরম করেছি,  সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সামনের দুই ম্যাচে চেষ্টা করব ভালো কিছু করতে। এ বছর আমাদের দলের অনেকেই খুব ভালো করেছে। আশা করি এই সিরিজেও ভালো কিছু হবে।’ ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার মাঠে নামা সাকিবের সঙ্গে এখনকার সাকিবের পার্থক্য কতটা- এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন,‘প্রথম টেস্ট খেলার সময় চিন্তা ছিল না কেমন খেলব কিংবা কতদিন  খেলব। এখন পরিবেশ অন্য রকম, দায়িত্ব বেড়েছে। সত্যি কথা বলতে সব কিছুই আলাদা।’ এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ দিনের ম্যাচে নামতে যাচ্ছেন সাকিব। তাই তিনি ভীষণ রোমাঞ্চিত, ‘এটা একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। ওদের সঙ্গে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলেছি। তবে টেস্ট এই প্রথম। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড টেস্টকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করে, যেটা অন্যরা করে না। এ রকম একটা দেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলাটা সত্যি রোমাঞ্চকর ব্যাপার।’ অনন্য এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে সাকিব আল হাসান, যেখানে আছেন কেবল তিনজন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট নিলেই এ রেকর্ডের অংশীদার হবেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এ কীর্তি গড়ছেন শ্রীলঙ্কারই দুইজন- মুত্তিয়া মুরালিধরন ও রঙ্গনা হেরাথ। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেইল স্টেইনও আছেন এ তালিকায়। এনিয়ে তিনি বলেছেন, ‘রেকর্ডের কথা মনে আছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার ইনিংস আছে, দেখা যাক কী হয়। কতোটা বেশি অবদান রাখতে পারি, সেটাই বড়। দেখা গেল, অন্য কেউ ভালো বোলিং করে পাঁচ উইকেট পেলো। সেটা দলের জন্য ভালো। উইকেট পাওয়া তো নিজের হাতে নাই। দেখা যাবে অনেক সময় দারুণ বোলিং করেও অন্য কেউ উইকেট পায়। আবার অনেক সময় ভালো বোলিং না করেও উইকেট পাওয়া যায়। বোলিংয়ের জুটিটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জুটি গড়ে কতোটা ভালো বোলিং করতে পারি, এটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ