বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা

 

মোস্তাফিজুর রহমান কুড়িগ্রাম থেকে : ভারত থেকে নেমে আসা প্রবল ¯্রােতের পানিতে কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ভেসে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ীসহ গবাদি পশু হাঁস মুরগি ও বিভিন্ন মালামালসহ আসবাবপত্র এবং ১০ বছর বয়সের শিশু ৩৫ বছর বয়সের নারী। বন্যায় কাঁচা পাকা সড়ক, ব্রীজ, কালভার্ট ও ব্যাপকভাবে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের। বন্যার পানির তীব্র ¯্রােতে ভেঙ্গে যাওয়া কাঁচা পাকা সড়ক বাধের রাস্তা ও ব্রীজ কালভার্টের উপর দিয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাট মেরামত ও ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ করে দুর্ভোগ কমানোর দাবি বন্যাদুর্গতদের। এদিকে পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে হাতে পাঁয়ে ঘাঁ। শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। বেড়েছে দুর্ভোগ। সম্প্রতিক টানা ৯ দিনের বন্যায় কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা, গংগাধর, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক অবকাঠামোসহ রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট। এতে করে উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র ¯্রােতে এসব এলাকার কাঁচা সড়ক, ব্রীজ-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। জেলা প্রশাসন সূত্র মতে, জেলায় ১৪৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, পাকা সড়ক ২৫ কি.মি ও ১.৫ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ২৩টি ব্রীজ কালভার্ট ভেঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোন রকমে যাতায়াত করছে এসব ভাঙ্গা ব্রীজ ও কালভার্ট দিয়ে। এর মধ্যে বেশির ভাগই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্ট। বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ভাঙ্গা ব্রীজ-কালভার্টে যাতায়াতের ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বান্যাদুর্গতদের। যানবাহনে চলাচল করতে না পারলেও পায়ে হেঁটে এবং নৌকাযোগে কোন রকম হাট বাজারসহ প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করছে জেলার বিভিন্ন স্থানের এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছীর রাজারহাটে গিয়ে দেখা যায়, এলজিইডির মেরামত করা ৮ কি.মি পাকা সড়ক সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই কাজের নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খায়রুল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার সানাউল কবির লেলিন জানান, কাজ সমাপ্তিলগ্নে আকস্মিকভাবে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় আমার ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন জানান, বন্যায় যেসব উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কাঁচা সড়ক ও ব্রীজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সবের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ-কালভার্ট ও সড়ক মেরামতের কাজ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ