শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শান্তি ফেরাতে মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প জামাতা

২৫ আগস্ট, ডয়েচে ভেলে : নানা সঙ্কটে জর্জরিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট কোনো রূপরেখা না থাকা সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনার উদ্যোগ নিচ্ছেন। তার জামাই জ্যারেড কুশনার আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া আবার চাঙ্গা করে তুলতে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ উপদেষ্টা ও জামাই জ্যারেড কুশনার। ক্ষমতায় আসার পরেই ট্রাম্প দুই পক্ষের মধ্যে চূডান্ত চুক্তির আশা প্রকাশ করেছেন। সেই উদ্যোগের আওতায় কুশনার ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই মুহূর্তে গোটা অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
মিশর, সৌদি আরব, কাতার ও জর্ডানের পর এবার তিনি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি এলাকায় সংলাপ চালাচ্ছেন।
তবে ট্রাম্পের দপ্তর ‘গঠনমূলক বিস্তারিত আলোচনা ছাড়া অন্য কোনো আশার আলো দিতে পারেনি। নিজের শিবিরের দক্ষিণপন্থি অংশের চাপে তার পক্ষে ফিলিস্তিনিদের কোনো ছাড দেয়া কঠিন হবে। ফিলিস্তিনিদের বদলে আঞ্চলিক আরব শক্তিগুলির সঙ্গে বোঝাপড়ার প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে ইসরাইল।
পশ্চিম তীরে রামাল্লাহ শহরে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস কুশনার ও তার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এক ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, কঠিন ও জটিল হলেও শান্তি আনার প্রয়াস অসম্ভব নয়।
তবে ট্রাম্প নিজে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানসূত্রের বিষয়ে অঙ্গীকার না করায় ফিলিস্তিনি পক্ষ ক্ষুণœ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। একটি রাষ্ট্রের মধ্যেই যদি তা সম্ভব হয়, তাতেও তিনি সমর্থন দিতে প্রস্তুত। এমন মন্তব্যের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বার বার নিজেদের অস্তিত্ব ভেঙে দিয়ে পশ্চিম তীরের প্রশাসনিক দায়িত্ব ইসরাইলের হাতে তুলে দেবার হুমকি দিয়ে আসছে। একতরফাভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ঘোষণার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করছে পশ্চিম তীরের নেতৃত্ব। অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি নির্মাণ বন্ধ করার বদলে আরো নতুন বসতির অনুমতির কারণেও ফিলিস্তিনিরা শান্তির আশা করছে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ